খুলনা: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফরিদুল হাসান বলেছেন, লবণাক্ততা দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কৃষির বিকাশে বড় একটি বাধা। জমিকে চাষের আওতায় আনলে লবণাক্ততার মাত্রা কমে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) এর সম্মেলন কক্ষে ‘লবণাক্ত এলাকায় তেল ফসলের আবাদ বাড়াতে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার তিনি এ কথা বলেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক কে জে এম আব্দুল আউয়াল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক ফরিদুল হাসান।
সেমিনারে জানানো হয়, দেশে ভোজ্যতেল হিসেবে ২০২১ সালে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা সমমূল্যের সাত দশমিক ৮০ লাখ মেট্রিক টন সয়াবিন তেল এবং ১৩ দশমিক ৫৫ লাখ মেট্রিক টন পাম অয়েল আমদানি করা হয়েছে। সরকার আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশে তেল ফসলের আবাদ বাড়ানোর মাধ্যমে ভোজ্যতেলের আমদানি ৪০ শতাংশ কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশে সরিষার উৎপাদন ছিল ছয় লাখ মেট্রিক টন যা ২০২১-২২ অর্থবছরে আট দশমিক ৫৪ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া সরিষা, চিনা বাদাম, তিল, সয়াবিন ও সূর্যমুখী মিলে দেশে মোট ১২ দশমিক ৬২ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল উৎপাদন হয়।
সেমিনারে আরও জানানো হয়, দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর ১০ লাখ হেক্টরের বেশি জমি বিভিন্ন মাত্রার লবণাক্ততায় আক্রান্ত। এর মধ্যে সাত দশমিক পাঁচ লাখ হেক্টর জমি বছরের বিভিন্ন সময় অনাবাদি থাকে। এই অনাবাদি জমির দুই শতাংশ সূর্যমুখী চাষের আওতায় আনতে পারলে ১২ হাজার টন তেল উৎপাদন করা সম্ভব। আবার এক শতাংশ জমিতে সয়াবিন আবাদ করা গেলে প্রায় ১৫ হাজার টন সয়াবিন তেল উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের খুলনা কার্যালয়ের আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শারমিনা শামীমের সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত দেন এআইএস এর উপ-পরিচালক (গণযোগাযোগ) ড. শামীম আহমেদ।
সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাতক্ষীরা উপকেন্দ্রের ঊধ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. বাবুল আকতার।
সেমিনারে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১২টি জেলার কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপপরিচালক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও কৃষকসহ মোট ৪০ জন অংশ গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২২
এমআরএম/আরআইএস