ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জনগণের কাছে হেরে যাওয়ার আগে ক্ষমতা ছেড়ে দিন: ফারুক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা, মে ৩, ২০২৪
জনগণের কাছে হেরে যাওয়ার আগে ক্ষমতা ছেড়ে দিন: ফারুক ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতকালের সংবাদ সম্মেলনে একটি বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপারসেনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ক্ষমতায় থাকলে বড় কথা বলা যায়। ক্ষমতায় থাকলে গ্রেপ্তারও করা যায়।

ক্ষমতায় থাকলে বিনা কারণে খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা যায়। কিন্তু জনগণ যখন রাস্তায় নেমে পড়বে তখন এসব কথায় কোনো কাজ হবে না। তখন ক্ষমতা আপনাকে ছাড়তেই হবে। তাই বলবো, জনগণের কাছে হেরে যাওয়ার আগে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইনটা পাস করে দিয়ে নিরবে বিদায় নেন।

শুক্রবার (৩ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে 'দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ সব জাতীয় নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিক্ষোভ সমাবেশেটির আয়োজন করে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন।

জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, বিএনপির তো অস্তিত্বই নেই। বিএনপি নাকি টিকবে না, বিএনপি অসত্য কথা বলে। বিএনপি বাসে আগুন দেয় বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তাই বিএনপি'র অস্তিত্ব থাকতে পারে না। এসব কথা আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখ থেকে ১৬টি বছর ধরে শুনে আসছি এবং এখনো শুনতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রীর একটি সংবাদ সম্মেলন পত্রিকায় এসেছে। যে দেশে মানবাধিকার এবং সংবিধান লুণ্ঠিত হচ্ছে এমন একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন , আমাকে ছাড়া আর এদেশে কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে, কেইবা আছে। কিন্তু আমি বলব আপনাকে সরাবার ইচ্ছা আমাদের ছিল না। কারণ বিএনপি এমন একটি নেতার দল যে নেতা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে ঝুড়িতে রূপান্তরিত করেছে। তাই এমন নেতার দল কস্মিনকালেও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করতে পারে না।

ষড়যন্ত্র মূলত আওয়ামী লীগ করে এমন মন্তব্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আপনারা যদি ষড়যন্ত্র না করতেন তাহলে ২০১৪ সালে কেন বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচনে গেলেন। কেন ২০১৮ সালে বিএনপির সঙ্গে অঙ্গীকার করার পরও দিনের ভোট রাতে করলেন। কেন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি ভাই ভাই ডামি ভোট করলেন। এসব কথার উত্তর আপনাকে একদিন দিতে হবে।

জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, বিএনপি আপনাকে এবং আপনার দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায় এ কারণে যে জনগণ চায় না আপনারা আর ক্ষমতায় থাকেন। কারণ জনগণ চায় না তিন টাকার কলা ১৪ টাকায় কিনুক। দ্রব্যমূলের এ ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আপনি বিরোধী দলের নেতাদের যেভাবে বিনা কারণে জেলখানায় রাখছেন, তাতে জনগণ মনে করে আপনার দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন কখনোই সম্ভব না। আর আপনার আমলে অর্থনৈতিক কোনো কালেই চাঙ্গা হবে না। তাই জনগণ চাচ্ছে আপনি সরে যান। যার প্রমাণ জনগণ ৭ জানুয়ারির  ভোটে দিয়েছে, কয়েক পার্সেন্টও ভোট পড়েনি।

জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, ক্ষমতায় থাকলে বড় কথা বলা যায়। ক্ষমতায় থাকলে গ্রেপ্তারও করা যায়। ক্ষমতায় থাকলে বিনা কারণে খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা যায়। কিন্তু জনগণ যখন রাস্তায় নেমে পড়বে তখন এসব কথায় কোনো কাজ হবে না। তখন ক্ষমতা আপনাকে ছাড়তেই হবে।  তাই বলবো জনগণের কাছে হেরে যাওয়ার আগে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইনটা পাস করে দিয়ে নীরবে বিদায় নেন।

বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির।  

এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব।  


বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, মে ৩, ২০২৪
ইএসএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।