ঢাকা, শনিবার, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৯ জুলাই ২০২৫, ২৩ মহররম ১৪৪৭

রাজনীতি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাপিয়ে রমনা পার্কে জামায়াত নেতাকর্মীদের ভিড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৫৭, জুলাই ১৯, ২০২৫
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাপিয়ে রমনা পার্কে জামায়াত নেতাকর্মীদের ভিড় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের অনেকে ভিড় করেছেন পাশ্বর্বতী রমনা পার্কে। ছবি: বাংলানিউজ

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্মরণকালে বৃহত্তম সমাবেশ করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সাত দফা দাবিতে আয়োজিত এই সমাবেশ নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে।

শনিবার (১৯ জুলাই) ভোর থেকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে জনতার ঢল নামে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করছে দলটি।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই সমাবেশ শুরুর অনেক আগেই দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতিতে কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।  বেলা বাড়ার সঙ্গে নেতাকর্মীদের ভিড় রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকা ছাপিয়ে যায়।

রমনা পার্ক ঘুরে দেখা যায়, সেখানে অসংখ্য নেতাকর্মী ভিড় করেছেন। নেতাকর্মীদের ঢলের কারণে রমনা পার্কের প্রবেশ গেইটগুলো দিয়ে ঢুকতে ও বের হতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। নেতাকর্মীদের অনেকে রমনা পার্কের ভেতরে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছেন। কেউ কেউ ঘুরে ঘুরে পার্কের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। অনেকে পার্কের ভেতরেই দুপুরের খাবার খেয়ে নিচ্ছেন। কিছু নেতাকর্মীকে লেকের পানিতে নেমে গোসল করতে দেখা গেছে।  

নেতাকর্মীরা জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় ভর্তি। তাই সেখানে ঢুকতে না পেরে রমনা পার্কে অবস্থান নিয়েছেন তারা।

বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থেকে আসা মো. সাইফুল্লাহ বলেন, রাতে লঞ্চে প্রায় ৩ হাজার নেতাকর্মীর সঙ্গে মেহেন্দীগঞ্জ থেকে এসেছি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকতে পারিনি। তাই রমনা পার্ক এসে বসেছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা ইব্রাহিম ইদ্রিস বলেন, ভোরে রওনা দিয়ে সকাল ৯টায় ঢাকায় এসেছি। সমাবেশে অনেক মানুষ। গরমের কারণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকিনি। রমনা পার্কে অন্যদের সঙ্গে বসে আছি। সমাবেশ শুরু হলে ভেতরে যাবো।

জামায়াতে ইসলামীর ৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে: অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, ‘জুলাই সনদ’ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন ও এক কোটিরও বেশি প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ।

সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশের প্রথম পর্ব শুরু হয়। প্রথম পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শিল্পী সাইফুল্লাহ মানসুর।

সকালে সমাবেশমঞ্চে এসে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর শুকরিয়া। আমাদের জাতীয় সমাবেশ ইতোমধ্যে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ার জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন তিনি। আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতের দোয়া করেন। ’

এসসি/এমইউএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।