সিলেট: কয়েছ লোদীকে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ভারপ্রাপ্ত মেয়র মানবেন না সিসিকের কাউন্সিলররা। বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশের পর জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তারা এই অনাস্থা প্রস্তাব আনেন।
কাউন্সিলররা বলেছেন, ‘যে অপরাধে আরিফুল হক চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই অপরাধে (হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত) অভিযুক্ত প্যানেল মেয়র কয়েছ লোদীও। কিন্তু মন্ত্রণালয় তাকে বহিষ্কার না করে উল্টো পুরস্কৃত করেছে। ’
অথচ প্রায় বছরখানেক আগে তাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। সিসিকের একই আইনে বলা হয়েছে মেয়র এবং কাউন্সিলরদের কথা। রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হামলা,ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ডের চার্জশিটভুক্ত আসামি।
বৃহস্পতিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টায় সিলেট সিটি করপোরেশন মিলনায়তনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কাউন্সিলররা বলেন-ইতোমধ্যে কাউন্সিলর কয়েস লোদীর বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছি। মাসিক সভাগুলোতে তার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে।
তারপরও স্থানীয় সরকার বিভাগ কাউন্সিলরদের সিদ্ধান্তকে আমলে না নিয়ে ক্ষমতাসীনদের অশুভ শক্তির ইশারায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সিটি করপোরেশনকে উন্নয়ন বঞ্চিত করতে ষড়যন্ত্র করছে।
৩৩ জন কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র কয়েস লোদীর বিরুদ্ধে একযোগে অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন বলে দাবি করা হলেও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ১৪ জন।
বাকিরা বিশ্ব ইজতেমায় ও ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় রয়েছেন বলে জানান উপস্থিত কাউন্সিলররা।
সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলরদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন-৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম, ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান।
কাউন্সিলররা কয়েস লোদীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করে তাকে মেয়রের দায়িত্ব না দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কারান্তরীণ রয়েছেন। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সরোজ কুমার নাথ স্বাক্ষরিত আদেশ কপি সিলেট সিটি করপোরেশনে পৌঁছায়। এ আদেশে প্যানেল মেয়র-১ কে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য বলা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৫