নোয়াখালী: নোয়াখালীতে বিএনপির ডাকা মঙ্গলবারের সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে অন্তত ২০ গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে পিকেটাররা।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পিকেটাররা জেলার বিভিন্ন স্থানে ট্রাক, পিকআপভ্যান, অটোরিকশাসহ এসব গাড়ি ভাঙচুর ও একটি অটোরিকশায় আগুন দেয়।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহানকে আটকের প্রতিবাদে এ হরতালের ডাক দেয় জেলা বিএনপি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর-চৌমুহনী সড়কের কেন্দুরবাগ এলাকায় দুইটি ট্রাক, একটি পিকআপভ্যান ও ছয়টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করে পিকেটাররা। এ সময় পিকেটারদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে দুই অটোরিকশা চালক আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পিকেটাররা পালিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করে পুলিশ।
এছাড়া সাড়ে ৬টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় পাঁচটি অটোরিকশা ও একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়।
এদিকে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা শহরের দত্তেরহাটে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ করে হরতাল সমর্থকরা। এ সময় তারা একটি অটোরিকশায় আগুন দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
একই সময়ে সোনাপুরের করমুল্লা এলাকার হানিফ রোডে একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করে হরতাল সমর্থকরা।
অন্যদিকে, সাড়ে ৭টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার কলেজ গেট এলাকায় একটি ঝটিকা মিছিল বের করে সড়কে থাকা চারটি অটোরিকশা ভাঙচুর করে পিকেটাররা।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইনুল হক বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিকেল থেকে পুলিশি পাহারায় লক্ষ্মীপুর থেকে বেশ কয়েকটি গাড়ি ছেড়ে এসেছে। তবে সন্ধ্যার পরে পুলিশি পাহারা ছাড়া লক্ষ্মীপুর থেকে ছেড়ে আসা কয়েকটি গাড়ি উপজেলার কেন্দুরবাগ এলাকায় আসলে পিকেটাররা ভাঙচুর চালায়।
পরে পুলিশ ওই এলাকা থেকে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে। তবে সে কোন দলের কর্মী কিনা তা জানা যায়নি।
সুধারাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, সন্ধ্যার পরে শহরের দত্তেরহাট এলাকায় পিকেটাররা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় । তবে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৫