ঢাকা: ‘সন্ত্রাসীদের ধরিয়ে দিন’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন আহ্বানে সাড়া দিয়ে পাড়া-মহল্লায় কমিটি গঠন করে সন্ত্রাস প্রতিরোধের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে ক্ষমতাসীন ১৪ দল।
এজন্য তারা খুব শিগগিরই পাড়া-মহল্লায় ‘সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি’ করবে, যারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করবে।
মঙ্গলবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এ খবর জানান।
এছাড়াও ১৪ দল এ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে রাজশাহীর সাঘাটা, পুঠিয়া, রংপুরে সমাবেশে করবে।
ঢাকায় সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ডিএমপি, বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেবে কিনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের বিরুদ্ধে নই, তবে এটা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ। তারা দেখবে।
এর আগে বেলা ১১টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে ১৪ দলীয় জোট। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে জোটের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সরকার গঠনের একবছর সফলভাবে পরিচালনা ও আর্থ-সামাজিকভাবে বাংলাদেশকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১৪ দল প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছে।
একই সঙ্গে সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে (এসকে সিনহা) প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ তিনি।
এক বছরের ফিরিস্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৪ দলের ভুল ছিল না, আমরা বলি না। ভুল স্বীকার করি। কিন্তু খালেদার নেতৃত্বে দেশে কি হচ্ছে? এটা কাপুরুষোচিত। বিরোধিতা করলে সামনে থেকে করা উচিত। অবরোধের কথা বলে চোরাগোপ্তা হামলা করছে, এটা কোনো রাজনীতির সংজ্ঞা বা বিরোধিতায় পড়ে না। চোরাগুপ্তা হামলার জন্য তিনিই (খালেদা) দায়ী। এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে ১৪ দল।
একই সঙ্গে প্রতিরোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ ১৪ দলের।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক দৈন্যতার জন্য অমিত শাহ ও মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের ঘটনা সাজিয়ে প্রচার করা হয়েছে। তৃতীয় শ্রেণীর রাজনৈতিক দলের মতো আচরণ করছে বিএনপি। ১৪ দলের বিরোধিতা করতে গিয়ে এমন পর্যায়ে চলে গেছে, যেটা বলতেও লজ্জা লাগে।
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, সন্ত্রাস-মিথ্যাচার বাদ দিয়ে এখন গণতান্ত্রিক ধারায় আসেন। নিশ্চয় জনগণ চিন্তা করে দেখবে, আপনাদের সুযোগ দেওয়া যায় কিনা! আমরা আপনাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো। সন্ত্রাস করলে একবিন্দুও ছাড় দেওয়া হবে না। আপস-আলোচনাও হতে পারে না।
কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, স্বাস্থ্য সম্পাদক বাদিউজ্জামান ভূইয়া ডাবলু, সদস্য এনামুল হক শামীম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের কার্যকরী সভাপতি মাঈনুদ্দিন খান বাদল, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, ন্যাপ’র ইসমাইল হোসেন, তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল হক মাইজভান্ডারি, এম এ আউয়াল, বাসদ’র রেজাউর রশিদ খান, গণআজাদী লীগের এসকে শিকদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৫/আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা