ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাশে থেকে যারা তাকে বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেন তাদেরকে এক এক করে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম খান।
মঙ্গলবার রাতে (১৩ জানুয়ারি) গুলিবিদ্ধ চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমানকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে দেখে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ করেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, এর আগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাবি উদ্দিন আহমেদের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে তাকে ভয় দেখানো হয়েছে, আজ রিয়াজ রহমানকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছে। এ থেকে আমরা সন্দেহ করছি খালেদা জিয়াকে যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন তাদেরকে এক এক করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অসুস্থ নজরুল ইসলাম খান নিজেও চিকিৎসাধীন। রিয়াজ রহমান আহত হওয়ার সংবাদ শুনে তিনি তাকে দেখতে যান।
এ হামলার সঙ্গে সরকারের সম্পৃক্ততা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেখানে খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তার আশপাশে এখন হাই সিকিউরিটি ব্যবস্থা বলবৎ রয়েছে। তাছাড়া হোটেল ওয়েস্টিনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও অনেক মজবুত। এছাড়া তিনজন এক মোটরসাইকেলে চড়া যাবে না এমন নির্দেশনাও জারি রয়েছে। এরপরও যখন চেয়ারপারসনের একজন উপদেষ্টার ওপর এভাবে হামলা করা হয় তখন এর সঙ্গে সরকারের সম্পৃক্ততার বিষয়টি থেকেই যায়। জনগণ এ ব্যাপারে সন্দেহ করতেই পারে।
তিনি বলেন, কে বা কারা সচিবালয়ে বোমা হামলা করেছে তা ধরা না গেলেও পরামর্শদাতা হিসেবে বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা দেখতে চাই রিয়াজ রহমানের মতো এমন শান্তিপ্রিয় মানুষের ওপর যারা ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়েছে তাদেরকে ও তাদের পরামর্শদাতাদের সরকার আইনের আওতায় আনে কিনা।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫