ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমানের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে নাগরিক সংগঠন ‘শত নাগরিক’।
বুধবার (১৪ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায় দেশের নাগরিক সমাজের ‘বৃহত্তম’ সংগঠনটি।
বিবৃতিদাতারা হলেন- প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ, কবি আল মাহমুদ, প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান মিঞা, প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, প্রফেসর ড. তালুকদার মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ আসাফউদ্দৌলাহ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাদেক খান, ড. মাহবুব উল্লাহ, শফিক রেহমান, ফরহাদ মজহার, প্রফেসর আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, রিয়াজ উদ্দিন আহমদ, শওকত মাহমুদ, রুহুল আমিন গাজী, কবি আবদুল হাই শিকদার, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডা.এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ড. ওয়াকিল আহমেদ, ড. খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, ড. সদরুল আমিন, ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, মাহফুজ উল্লাহ, ড. মোসলেহ উদ্দীন তারেক, গাজী মাযহারুল আনোয়ার, আলমগীর মহিউদ্দিন, ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, প্রফেসর ড. মো. ইনামুল হক, প্রফেসর আলতাফ হোসেন, এম এ আজিজ, কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমদ, ড. রাশিদুল হাসান, ইঞ্জিনিয়ার আনহ আখতার হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, ড. আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, ইলিয়াস খান, কাদের গণি চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ড. আমিনুর রহমান মজুমদার, ড. জেড এম তাহমিদা বেগম, প্রফেসর আ কা ফিরোজ আহমদ, ড. আখতার হোসেন খান, ড. মোবাশ্বের মোনেম, ড. আবুল হাসনাত, ড. এ বি এম সিদ্দিকুর রহমান নিজামী, মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান, ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, ড. খলিলুর রহমান, ড. সাহিদা রফিক, ড. মো. হায়দার আলী, প্রফেসর এ কে এম আজহারুল ইসলাম, প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর কে এ এম শাহাদাত হোসেন মন্ডল, প্রফেসর ড. হাসান মোহাম্মদ, প্রকৌশলী কাজী এম. সুফিয়ান, ড. ইফতিখারুল আলম মাসুদ, প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভুইঞা, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী, প্রফেসর ড. মোশাররফ হোসেন মিঞা, প্রফেসর ড. মোখলেছুর রহমান, প্রফেসর ড. সুকোমল বডুয়া, ড. বোরহান উদ্দিন খান, ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ড. লায়লা নুর ইসলাম, ড. ইয়ারুল কবির, ড. মামুন আহমেদ, ড. আবদুল লতিফ মাসুম, ড. সামসুল আলম, ড. সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহসান, ড. জাহিদুল ইসলাম, ড. কামাল আহমদ চৌধুরী, কবি আল মুজাহিদী, কবি হাসান হাফিজ, কবি আবু সালেহ, ড. লুৎফর রহমান, ড. তাসলিমা মানসুর, ড. মোরশেদ হাসান খান, ড. মো. মোজাম্মেল হক, ড. মাহফুজুল হক, ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন, প্রফেসর শাহ হাবিবুর রহমান, প্রফেসর এম নজরুল ইসলাম, প্রফেসর আসমা সিদ্দিকা, ড. সৈয়দা আফরোজা মামুন, প্রফেসর মো. শহিদুর রহমান, প্রফেসর এনামুল হক, প্রকৌশলী কাজী মো. সুফিয়ান, ড. মোহসিন জিল্লুর করিম, মোহাম্মদ মাফরুহি সাত্তার, প্রফেসর আবুল কাশেম চৌধুরী, প্রফেসর সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, প্রফেসর আতিকুর রহমান, প্রফেসর কে এম গোলাম মহিউদ্দিন, প্রফেসর আ ক ম আবদুল কাদের, প্রকৌশলী মো. মাহফুজ, প্রকৌশলী মো. মালেক, প্রকৌশলী কাজী মেজবাহ, প্রকৌশলী মোসলেহউদ্দিন, প্রকৌশলী আল আমিন, ডা. ইফতেখার লিটন, ডা. বেলায়েত হোসেন, ডা. আবদুল মোতালেব, ডা. জসিম উদ্দিন, ডা. বদিউল আলম, ডা. গোলাম মর্তুজা, ডা. আবুল কাশেম, অ্যাডভোকেট জহুরুল আলম, প্রকৌশলী মাসুদুল হক খান, প্রকৌশলী হাসান পারভেজ, প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, প্রকৌশলী মাসুম আহমেদ, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ড. মো. গোলাম আরিফ কেনেডি, অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আ ন ম মুনীর আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. এম এ বারী মিয়া, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কামরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শহিদুল হক, অধ্যাপক ড. মো. ইয়াকুব আলী, অধ্যাপক ড. মো. তোজাম্মেল হোসেন, অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন, আ ফ ম আরিফুর রহমান, মো. মতিউর রহমান হীরা, অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ, ড. মোস্তাফিজুর, অধ্যাপক রেজাউল করিম, বেলাল হোসেন, ড. মো. মিজান, প্রকৌশলী সাব্বির মোস্তফা খান, ডা. এ এ গোলাম মুর্তজা হারুন, ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, ডা. আশরাফুল কবীর ভূঁইয়া, ডা. শাহাদাত হোসেন, ডা. মো. জসিম উদ্দিন, ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ, কৃষিবিদ আনোয়ারুন্নবী বাবলা, মীর আহমেদ মীরু, ইঞ্জিনিয়ার আবু সুফিয়ান, মনির খান, জাকির হোসেন, অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া ও ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দেশের একজন সম্মানিত নাগরিক ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমানের ওপর যে কাপুরুষোতি হামলা হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা করছি। একইসঙ্গে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি দলের লাগামছাড়া কর্মকাণ্ডের ফলে জনজীবনে যে ত্রাস সৃষ্টি হয়েছে তারও নিন্দা করছি। ’
সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ২০-দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে সরকারের তরফ থেকে যখন দরকার দায়িত্বশীল আচরণ, যখন সবাইকে নিয়ে সংলাপে বসে সংকট উত্তরণের পথ বের করা জরুরি, সেসময় বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ সরকারি দলের লোকজনের শিষ্টাচার বর্হিভূত ও রুচিবর্জিত বক্তব্য এবং হিংসাত্মক-আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহারের ফলে সর্বত্র সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে বলে আমাদের ধারণা। ’
বিবৃতিদাতারা বলেন, ‘এই হিংসা ও হানাহানির দয়িত্ব অবশ্য সরকারকেই বহন করতে হবে। জনগণের জান-মাল রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। সেই সরকারি লোকজনই যদি হামলা ও হানাহনির কারণ হয় তার প্রতিকারের দয়িত্বও সরকারকেই নিতে হবে। ’
বিবৃতিতে সংকট উত্তরণের জন্য সরকারকে অবিলম্বে সবাইকে নিয়ে সংলাপে বসার জোর দাবি জানায় শত নাগরিক।
বিবৃতিদাতারা আরও বলেন, ‘দেশে এখন যেসব অপকর্ম হয়েছে, হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে, সরকারি লোকজন এবং তাদের বাহিনী যেভাবে ত্রাস সৃষ্টি করছে, তা থেকে পরিত্রাণ পেতে হিংসা-হানাহানি পরিহার করে সমঝোতার পথে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় দেশে গৃহযুদ্ধ লেগে যেতে পারে বলে আমাদের আশঙ্কা। আর সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায়ভারও সরকারকেই বহন করতে হবে। ’
এছাড়া, বিবৃতিতে চলমান আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে সবাইকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানায় শত নাগরিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫