ভোলা: একের পর এক ককটেল ও ছোট ছোট বোমা বিস্ফোরণে ঘটনায় হরতালের আগে দিন হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দ্বীপ জেলা ভোলা। এতে শহর ও আশপাশের এলাকার মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে পুলিশ বলছে, এটি চোরাগুপ্তা হামলা। এতে জানমালের কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। নাশকতা বন্ধে শক্ত অবস্থানে রয়েছে তারা। তবে পুলিশ এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে একাধিক ককটেল ও ছোট ছোট বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় পুলিশ নাশকতা সৃষ্টিকারীদের আটকের জন্য অভিযান চালায়। তবে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় শহরের ব্যবসায়ী, পথচারীসহ মানুষের মধ্যে আতংক মুহূর্তের মধ্যেই আতংকগ্রস্ত মানুষ মার্কেট-দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। প্রায় ২০ মিনিটব্যাপী উত্তেজনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবারের হরতালে নাশকতা ঠেকাতে শক্ত অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। সন্ধ্যার পর থেকে সন্দেহভাজন এলাকায় পুলিশি তল্লাশি ও চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। এছাড়াও গোয়েন্দা পুলিশ তৎপরতা বৃদ্ধিসহ সাদা পোশাকের পুলিশ মাঠে রয়েছে।
ভোলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, হরতালে নাশকতা ঠেকাতে ৫শতাধিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। বুধবার রাত থেকে নাশকতায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫