ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সিলেটে বিক্ষিপ্ত ঘটনায় শেষ ছাত্রদল-শিবিরের হরতাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫
সিলেটে বিক্ষিপ্ত ঘটনায় শেষ ছাত্রদল-শিবিরের হরতাল

সিলেট: সিলেটে বিক্ষিপ্ত ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। বুধবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় শুরু হওয়া হরতাল শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়।



হরতালের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নগরীর কয়েকটি স্থানে ঝটিকা মিছিল, ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর ছাড়া হরতালের সমর্থনে পিকেটারদের তেমন কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ‘অবরুদ্ধ’ করে রাখার প্রতিবাদে, জাতীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ‍এবং সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে হরতাল আহ্বান করে ছাত্র সংগঠন দু‘টি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বাংলানিউজকে জানান, সকাল ৮টা ২৫ মিনিটের দিকে নগরীর বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে থেকে জেলা ও মহানগর ছাত্রদল একটি ঝটিকা মিছিল বের করে। করিমউল্লাহ পয়েন্টে এসে মিছিল থেকে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে পুলিশ আসার আগেই দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন হরতাল সমর্থকরা।

এছাড়া সকাল ৯টার দিকে নগরীর চৌকিদীঘি এলাকায় শিবিরের একটি ঝটিকা মিছিল বের হয়। শিবিরকর্মীরা এ সময় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাংচুর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসামাত্র তারা পালিয়ে যায়।

একই সময় মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. লোকমান এর  নেতৃত্বে নগরীর সুবিদ বাজার এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

সকাল ১০টার দিকে নগরীর শেখঘাট এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় আগুন দেয় শিবিরকর্মীরা। পরে স্থানীয়রা পানি দিয়ে আগুন নেভায়।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দর্শনদেউরী এলাকায় দু’টি সিএনজি অটোরিক্সা ও ১টি ব্যাটারি চালিত টমটম গাড়ি ভাঙচুর করেছে পিকেটাররা।

বেলা ২টার দিকে মহানগর ছাত্রদল নেতা বেলায়েত হোসেন মোহনের নেতৃত্বে কুমারপাড়া পয়েন্ট থেকে একটি মিছিল নয়া সড়ক এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। এ সময় তারা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টির চেষ্টা করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

বিকেল ৩টার দিকে মদিনা মার্কেট এলাকা থেকে ঝটিকা মিছিল থেকে দুটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করে ছাত্রদলকর্মীরা। এ সময় সেখান থেকে মুনতাকিম (২০) ও শাহিন মিয়া (২২) নামের দুই হরতাল সমর্থককে আটক করে জালালাবাদ থানা পুলিশ।

এছাড়া নগরীর সুবিদবাজার, সোবহানীঘাট, মদিনা মার্কেট, শাহপরাণ, দক্ষিণ সুরমাসহ কয়েকটি স্থানে হরতাল সমর্থকদের ঝটিকা মিছিল করার খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন স্থানে রিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা কিছু হালকা যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে বিকেলের দিকে যান চলাচলের চাপ বাড়তে থাকে। নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যানজটেরও সৃষ্টি হয়।

হরতালে নগরীর কদমতলী বাস  টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো যানবাহন। তবে বিকেলের দিকে টার্মিনাল ছেড়েছে আঞ্চলিক মহাসড়কের যান। এছাড়া সিডিউল বিপর্যয় হলেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিলো। বন্ধ ছিলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

এদিকে অবরোধ ও হরতালে নাশকতা এড়াতে সিলেট নগরজুড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ ও র‌্যাবসহ বিজিবি সদস্যরা। সকাল থেকেই নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে টহল দেন তারা। এছাড়া নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতেও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।