কুড়িগ্রাম: বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের আশায় মাকে সঙ্গে নিয়ে বাদাম-বুট, চাল, ডালি-কুলাসহ কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন রহিম বাদশার (৪৫)। পথে রংপুর জেলার মিঠাপুকুরে দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রল বোমার আগুনে পুড়ে মারা যান তিনি।
মঙ্গলবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনায় তার মা রহিমা বেগমও মারা যান। পেট্রল বোমায় পুড়ে চুরমার হয়ে যায় তার সব স্বপ্ন।
রহিম বাদশা কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেণী ইউনিয়নের দরিচর গ্রামের বাসিন্দা। তার বড় ছেলে লিটন ঢাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করে। ছোট ছেলে লিমন তৃতীয় শ্রেণিতে এবং মেয়ে রুমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। বাদাম বিক্রি করেই ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত করার স্বপ্ন ছিল তার।
বুধবার দরিচর গ্রামে রহিম বাদশার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠোনে শত শত মানুষ ভীড় করছে। ছোট ছেলে লিমন ও মেয়ে রুমি বাবার মৃত্যুর ঘটনায় পাগলপারা।
কান্না জড়িত কণ্ঠে তাদের আকুতি এখন আমাদের কি হবে? খাব কি? থাকবো কোথায়? কে আমাদের বাঁচাবে? তাদের সামনে এখন শুধুই অন্ধকার।
স্থানীয় বছির মিয়া, আব্বাস আলীসহ প্রতিবেশিরা জানায়, বাদশা অনেক কষ্ট করে মাথা গোঁজার জন্য দুই শতাংশ জমি কিনেছিলেন। যার কিছু টাকা বাকি ছিলো। টঙ্গীর ইজতেমা থেকে ফিরে ওই টাকা পরিশোধ করার কথা ছিলো। কিন্তু সব কিছুই এলোমেলো করে দিলো তার মর্মান্তিক মৃত্যু।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৫