ঢাকা: ২১ জানুয়ারির মধ্যে হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করা না হলে আগামী ২২ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে পরিবহনে আগুন দিয়ে চালক-হেলপার হত্যায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে গ্রেফতারেরও দাবি জানানো হয়েছে।
রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগ নেতারা এ ঘোষণা ও দাবি জানান।
সংগঠনের সভাপতি ওয়াহেদুজ্জামান ওয়াহিদ বলেন, আগামী তিন দিন (২১ জানুয়ারির মধ্যে) আপনাকে (খালেদা জিয়া) সময় দেওয়া হলো।
তিন দিনের মধ্যে হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার, পরিবহনে আগুন দিয়ে চালক-হেলপার, সাধারণ মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে।
অন্যথায় আগামী ২২ জানুয়ারি সকাল ১০টায় হাজার হাজার পরিবহন শ্রমিক নিয়ে আপনার রাজনৈতিক কার্যালয় ঘেরাও করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওয়াহিদ বলেন, সারাদেশে প্রায় ২২৫টি পরিবহনে আগুন, ৫ শতাধিক পরিবহন ভাঙচুর ও বেশ কয়েকজন হেলপার-চালককে পেট্রোল বোমা মেরে হত্যা করা হয়েছে।
সর্বশেষ শনিবার মৎস্য ভবনের সামনে ১২ জন পুলিশকে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ করেছে। খালেদার নির্দেশে জামায়াত-শিবির এসব করেছে। এসবের জন্য খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইনছুর আলী খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আজ ১১ দিন কর্মসূচি দিয়ে আপনি ভালো খাটে ঘুমান।
আপনারা সাবেক মন্ত্রী-এমপিরা তো রাস্তায় বের হন না। সাহস থাকলে হরতাল অবরোধ দিয়ে রাস্তায় বের হোন।
তিনি বলেন, হেলপার-চালক তো সাধারণ শ্রমিক। পেটের দায়ে তারা রাস্তায় বের হন। আপনি তাদের পেট্রোল বোমা দিয়ে হত্যা করেন।
হরতাল-অবরোধের নামে আপনার নৈরাজ্য বন্ধ না হলে আগামী ২২ জানুয়ারি সারাদেশের হাজার হাজার পরিবহন শ্রমিক নিয়ে আপনার কার্যালয়ের সামনে
বিক্ষোভ, সমাবেশ করে আপনাকে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
মানববন্ধনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হক সবুজ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের কার্যকরি সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি সেরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাত্তার মল্লিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৫