কুমিল্লা: কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্যসহ ১৮ জন আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে ছাত্রদলের তিনজন গুলিবিদ্ধসহ নিজেদের ১৪ নেতাকর্মী রয়েছেন বলে দাবি করেছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু।
দু’গ্রুপের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষ চলাকালে কান্দিরপাড়ে অবস্থিত জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও জামায়াত সমর্থক আখতার হোসেনের একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
রোববার (১৮ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১২টার দিকে আধা ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
এদিকে, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বিএনপি কর্মীদের ছোড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হন চার পুলিশ সদস্য।
এরা হলেন-কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শামসুজ্জামান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাসির, সেকেন্ড অফিসার সালাউদ্দিন ও কনস্টেবল আনোয়ার। তাদের স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির আহত নেতাকর্মীদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুরে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অবস্থান করছিল। এদিকে, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে কান্দিরপাড় এলাকা অতিক্রম করছিল। এসময় উভয় গ্রুপ পাল্টা-পাল্টি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে উভয় গ্রুপ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় কান্দিরপাড় এলাকা।
কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শামসুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৭০/৮০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২০টি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে কান্দিরপাড়ে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৫