ঢাকা, বুধবার, ১ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৬ জুলাই ২০২৫, ২০ মহররম ১৪৪৭

রাজনীতি

খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা বেষ্টনী তুলে নিতে বললেন মায়া

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:১০, জানুয়ারি ১৮, ২০১৫
খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা বেষ্টনী তুলে নিতে বললেন মায়া মোফাজ্জেল হোসেন মায়া ও কামরুল ইসলাম

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের নিরাপত্তা বেষ্টনী তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া।

তিনি বলেছেন, তিনি (খালেদা) ওই বাড়িতে বসে ষড়যন্ত্র করছেন।

সন্ত্রাস ও নাশকতার উস্কানি দিচ্ছেন। দলীয় নেতাকর্মীরা দেখা করছেন, পরামর্শ করছেন।

খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে মায়া বলেন, তিনি সেখানে ষড়যন্ত্রের বাক্স খুলেছেন। মানুষ হত্যা করে হলেও তাকে ক্ষমতায় যেতে হবে।

তিনি বলেন, সারাদেশে সন্ত্রাস, বোমাবাজি নাশকতা চালিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে, তাতে মানুষ ফুঁসে উঠেছে। আজ যদি খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা বেষ্টনী তুলে নেওয়া হয়, তাহলে ওই বাড়ির একটি ইটও পাওয়া যাবে না। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলবো, ওই বাড়ির নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রত্যাহার করা উচিত।

রোববার বিকেল সাড়ে তিনটায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভার শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

সভায় মায়া আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান অনুযায়ী, ঢাকার ওয়ার্ড, পাড়া-মহল্লায় ‘সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি’ গড়ে তুলবো। আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতাকর্মী ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট করে এই কমিটি গঠন করা হবে। এই নাগরিক কমিটির মাধ্যমে সন্ত্রাসী, নাশকতাকারীদের শায়েস্তা করা হবে।

তিনি বলেন, তাদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

এ সময় আগামী ২০ জানুয়ারি রাজধানীর গাবতলীতে ১৪ দলের শান্তি মিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা দেন তিনি।

এ ছাড়া এই মাসে ঢাকায় আরো শান্তি মিছিল ও সমাবেশ করা হবে বলে জানান মায়া।
সভায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া আরো বলেন, বিএনপি ষড়ন্ত্রের সর্বশেষ জায়গায় চলে এসেছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, কিছু বিদেশি আছেন যারা কোথাও কিছু হলেই দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেন। আমাদের দেশের সমস্যা আমরা সমাধান করবো, তাদের এত দৌড়-ঝাঁপ কেন!
 
এ সভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা যায় না।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংকট রাজনৈতিকভাবে আলোচনা করেই সমাধান করা যায়। কিন্তু এখন বিএনপি-জামায়াত যেটা করছে, এটা রাজনীতি নয়। এটা রাজনৈতিক সংকট নয়। তারা সন্ত্রাস-নাশকতা চালাচ্ছে। এটা করে সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

তিনি বিভিন্ন দেশের সরকারের উদ্দেশে বলেন, বিদেশি বন্ধুদের বলবো, আইএস, আল-কায়েদার সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয় না। তাদেরকে যে প্র্রক্রিয়ায় নির্মূল করা হচ্ছে, এদেরকেও  (বিএনপি-জামায়াত) সেই প্রক্রিয়ায় নির্মূল করা উচিত।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাস, নাশকতা চালাচ্ছে। যে প্রক্রিয়ায় এই সন্ত্রাস নাশকতা বন্ধ করা যায়, সরকার সেই প্রক্রিয়াই অনুসরণ করবে।

কামরুল আরো বলেন, শুধু যে সন্ত্রাস নাশকতা করছে সেই আসামি তা নয়, ফোজদারি আইন অনুযায়ী, এর পেছনে যারা ইন্ধন দিচ্ছে, পরিকল্পনা করছে, অর্থ যোগান দিচ্ছে, তারাও সমান অপরাধী। প্রতিটি ঘটনার পেছনে বিএনপি নেতাদের ইন্ধন আছে, পরিকল্পনা ও অর্থের যোগান আছে। তারা ৫ হাজার, ১০ হাজার টাকা দিয়ে লোক ভাড়া করে বোমাবাজি নাশকতা করাচ্ছে।

পাড়ায় মহল্লায় ‘সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন করে সন্ত্রাস নাশকতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এইভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলে আগামী কিছু দিনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে।
 
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৫/আপডেটেড: ১৯২৫ ঘণ্টা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।