ঢাকা: অতিরিক্ত পুলিশ, পুলিশ ভ্যান ও জলকামান সরিয়ে নেওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয় ঘিরে রয়েছে সিএসএফ’র (চেয়ারপারসন’স সিকিউরিটি ফোরস) ছয়টি গাড়ি।
রোববার (১৮ জানুয়ারি) রাত সোয়া ৩টার দিকে এসব গাড়ি অবস্থান নিয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার সিএসএফের গাড়ি রাখার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে অতিরিক্ত পুলিশ, পুলিশ ভ্যান ও জলকামান সরিয়ে নেওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের চারদিক ফাকা হয়ে যায়।
এর কিছুক্ষণ পর, রাত সোয়া ৩টার দিকে কার্যালয়ের মূল গেটের সামনে প্রথম একটি গাড়ি দাঁড় করানো হয়। এর পর, এক এক করে কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় তিনটি এবং কার্যালয়ের পেছনের গেটের কাছে আরো একটি গাড়ি দাঁড় করানো হয়।
প্রথম অবস্থায় সাংবাদিকসহ উপস্থিত লোকজনের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে কৌতুহল সৃষ্টি হয়। পরে, অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব গাড়ি বিএনপি চেয়ারপারসনের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর (সিএসএফ)।
এদিকে, কার্যালয়ের সামনে বর্তমানে একজন উপ-পরিদর্শকের (এসআই) নেতৃত্বে সাত জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
গত ৩ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে হাজির হয়ে আন্দোলনের ডাক দিয়ে সেখানেই অবস্থান নেন। পর দিন সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি ইট, বালু, সুরকি ও পাথরভর্তি ১৩টি ট্রাক রাখা হয়। এরপর ৫ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে ১১টি ট্রাক সরিয়ে নেওয়া হয়।
পরে, ১১ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় দুপুরে সেখানে মাটি, ইট ও বালুভর্তি ৭টি ট্রাক রাখা হলেও রাতেই সরিয়ে নেওয়া হয়।
১২ জানুয়ারি সকালে গুলশানে খালেদার রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনেও বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অবস্থান নেয়। এদিন কার্যালয়ের সামনের সড়কের উত্তর পাশে পুলিশের বড় দু’টি ভ্যান এবং কার্যালয়ের সড়কের দক্ষিণ পাশে আড়াআড়িভাবে একটি জলকামান রাখা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৫