ঢাকা: জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সোমবার (১৯ জানুয়ারি) চন্দ্রিমা উদ্যানে তার মাজারে বিএনপির ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচি কার্যত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
সকালে সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিছ ইসলামের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এবং দুপুরে বিএনপির সাংস্কৃতিক সম্পাদক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের নেতৃত্বে কয়েকজনকে ছাড়া পুলিশ কাউকেই জিয়ার মাজারে ঢুকতে দেয়নি।
১৯ জানুয়ারি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৭৯ তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে চন্দ্রিমা উদ্যানে অবস্থিত তার মাজারে ফুল দেয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
এ উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই চন্দ্রিমা উদ্যানের প্রবেশমুখে জড়ো হন বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আখতার হামিদ পবন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফতসহ উপস্থিত ছিলেন শতাধিক সাবেক এমপি। সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিছ ইসলাম সহ মহিলা দলেরও দেড়শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত হন সকালে। এছাড়া চন্দ্রিমা উদ্যানের বাইরে রোকেয়া সরণির বিমান চত্বরে জড়ো হন বিএনপির সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। কিন্তু ফুল দিতে মাজারে প্রবেশে নেতাকর্মীদের বাধা দেয় পুলিশ।
সোমবার জাতীয় সংসদের অধিবেশন উপলক্ষ্যে জাতীয় সংসদ ভবন ও তার চারপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ ও জমায়েত নিষিদ্ধ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এর অংশ হিসেবেই বিএনপি নেতাকর্মীদের জিয়ার মাজারে জমায়েত হতে দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র।
গত ৩ জানুয়ারি থেকে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি নেত্রী অবরুদ্ধ থাকায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও অন্যান্য সিনিয়র নেতারা জিয়ার মাজারে যাবেন বলে ধারণা করা হয়েছিলো। তবে তাদের কেউই সেখানে উপস্থিত হয়নি। এ পরিস্থিতিতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক নেতাই বলেছেন, জিয়াউর রহমানের ৭৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধা নিবেদনে মহিলা দলই শেষ ভরসা। সোমবার মহিলা দল ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের কেউ মাজারে যেতে না পারলে হয়তো বিএনপির পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করাই সম্ভব হতো না।
জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শেষ পর্যন্ত চন্দ্রিমা উদ্যানের বাইরেই মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নেছারুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৫