ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

৭৫ এ সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছিল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৫
৭৫ এ সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছিল ছবি: পিয়াস / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ৭৫ এ সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ৬৭ তম মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।



কামরুল বলেন, ৭৫ রে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছিল । শুধু বঙ্গবন্ধু নয় পৃথিবীর বহু রাষ্ট্র নায়ককে হত্যা করা হয়েছিল কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের মতো এভাবে নারী শিশুহ এ রকম হত্যাযজ্ঞ পৃথিবীর আর কোথাও ঘটেনি। যেটা ৭৫ এ বাংলাদেশে ঘটেছিল।

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা জেলখানায় ঢুকে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন হত্যাযজ্ঞ আর কোথাও ঘটেনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান ৭১ সালে এদেশে গণহত্যা চালিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিল আবার তারাই দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের পক্ষে সাফাই গায় যা দুঃখজনক।

কামরুল বলেন, আগুন সন্ত্রাসীরা বৌদ্ধ বিহারের মতো বিহারগুলো যেভাবে ধ্বংস করেছিল, যেভাবে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল তা কি মানবাধিকার লংঘন নয়।

সিমলা চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান তাদের প্রতিশ্রুতি রাখেনি মন্তব্য করে তিনি বলেন, সিমলা চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান ১৭৫ জন অপরাধীর কোন বিচার করেনি। তারা তাদের বিচার না করার মাধ্যমে তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে।

বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে বিশ্বের মোড়ল রাষ্ট্রগুলো অর্থের যোগান দেয় দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মোড়ল রাষ্ট্রগুলো মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে অর্থের যোগান দেয় বলেই তারা তাদের সুরে কথা বলে। পুলিশ একটু রিমান্ডে নিলেই তারা মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে দাবি করে।

এমনকি এ্যামনেস্টি ও হিউম্যান রাইটসের মতো মানবাধিকার সংগঠনগুলোও মোড়লদের দেয়া মানবাধিকারের সংজ্ঞায় কথা বলে।  

অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতো নয়, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন সত্যিকারের মানবাধিকারের কথা বলবে এবং নিরপেক্ষভাবে কথা বলবে বলে মনে করেন তিনি।

সবশেষে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্নভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। আইন করে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করা যাবে না। এজন্য সামাজিকভাবে সোচ্চার হতে হবে।

সংগঠনের সভাপতি বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মুকতাদির চৌধুরী, মহাসচিব মাওলানা মোহাম্মদ আবেদ আলী, সভাপতি ও সাবেক জেলা প্রসাকক রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৫
এমআইকে/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।