ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিজয় দিবসে খালেদার বাণী

জাতীয় ঐক্য গড়ে গণতন্ত্রকে বিপদমুক্ত করতে হবে

বাংলানিউজ পলিটিক্যাল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫
জাতীয় ঐক্য গড়ে গণতন্ত্রকে বিপদমুক্ত করতে হবে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া

ঢাকা: দেশে এখন মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নেই ও বর্তমান পরিস্থিতি যেন ‘ভয়ঙ্কর নৈরাজ্যময়’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। ‘স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্রকে বিপদমুক্ত করতে’ মহান বিজয় দিবসের প্রেরণায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।


 
মহান বিজয় দিবসের বাণীতে খালেদা জিয়া বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি শত্রুমুক্ত হলেও ‘চক্রান্তকারীদের চক্রান্ত’ আজো বিদ্যমান। চক্রান্তকারীরা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে গ্রাস করে আমাদেরকে একটি পদানত জাতিতে পরিণত করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত। ওই ‘অশুভ শক্তি’ নানাবিধ চক্রান্তজাল রচনা করে আমাদের বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা বিপন্ন করে চলেছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ‘প্রহসনের একতরফা নির্বাচন’ করে জনমতকে তাচ্ছিল্য করা হয়েছে। ‘ক্ষমতা জবরদখলকারীরা’ আক্রমণ চালিয়ে গণতান্ত্রিক শক্তিকে ‘নির্মূল করার কর্মসূচি’ বাস্তবায়ন করছে। এ ‘অশুভ শক্তির’ নীলনকশা বাস্তবায়নে রক্তপাতের ওপরই নির্ভর করা হচ্ছে।
 
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান বিএনপি নেত্রী। সকলের অব্যাহত সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন তিনি।

বিএনপির দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বাণীতে খালেদা জিয়া বলেন, আজকের এ দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেসব বীর শহীদদের কথা, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন স্বদেশভূমি পেয়েছি। আমি স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি। স্বাধীনতার জন্য যেসব মা-বোন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন- আমি তাদের সশ্রদ্ধ সালাম জানাই’।

তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে দেশের অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ী হন। তাই ১৬ ডিসেম্বর আমদের গর্বিত এবং মহিমান্বিত বিজয় দিবস। এদেশের দামাল ছেলেরা হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ছিনিয়ে এনেছিলেন স্বাধীনতার সূর্য। আজকের এ মহান দিনে আমি সেসব অকুতোভয় বীর সেনাদের সশ্রদ্ধ অভিবাদন জানাই’।

‘শোষণ-বঞ্চনামুক্ত একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়েই ১৯৭১ সালে এদেশের মানুষ স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময়ে আমাদের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হয়েছে, জনগণের মৌলিক ও মানবিক অধিকার খর্ব হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধার করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।