মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) ঢাকার দায়রা জজ আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা এ আদেশ দেন।
এদিকে মঙ্গলবার বিচারিক আদালতে হাজিরা দেয়ার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে যেতে পারেননি।
গত বছরের ২৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদারের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয় এত লক্ষ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।
ওই দিন খালেদা জিয়া আরো বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না। এই মামলায় ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।
এছাড়া ২০১৫ সালে মিরপুরের দারুসসালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা করে পুলিশ। এসব মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।
অপরদিকে ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কে এম নুরুজ্জামান।
এই মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
গত বছর এই ১১টি মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
অভিযোগপত্র দেয়ার পর খালেদা জিয়া এসব মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৭
এজেড/আরআই