সোমবার (১৫ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য এ আবেদন উপস্থাপন করা হতে পারে।
রোববার (১৪ মে) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত পরিবর্তনের আদেশ দেন হাইকোর্ট।
চ্যারিটেবল মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম চলছে রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের অস্থায়ী আদালতে। প্রধান আসামি খালেদা জিয়ার অসমাপ্ত আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য রয়েছে আগামী ২৫ মে। গত বছরের ০১ ডিসেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত বক্তব্য পড়তে শুরু করেন খালেদা।
এর মধ্যে বিচারকের প্রতি অনাস্থার আবেদন জানান খালেদা জিয়া। গত ১৩ এপ্রিল আবেদনটি খারিজ করে দেন বিচারিক আদালত।
জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এ আদালতেই চলছিল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাও। অনাস্থার পর আদালত বদলের আদেশ দেন হাইকোর্ট। সে অনুসারে আদালত বদলও হয়েছিলো। এক মামলায় যেহেতু আস্থা নেই, সুতরাং অন্য মামলায়ও আস্থা থাকার কথা নয়। তাই চ্যারিটেবল মামলায়ও আদালত বদল চেয়েছেন খালেদা জিয়া।
চ্যারিটেবল মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন জামিনে থাকা অন্য দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ঢাকা তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের আগের বিচারক বাসুদেব রায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
ইএস/জিপি/এএসআর