রোববার (৩০ জুলাই) বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
খুরশীদ আলম খান বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের পাঁচ সাক্ষীর জেরার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত চারজনের বিষয়ে আদেশ দিয়েছেন। কারণ একজনের (পিডব্লিউ-১৫) জেরা আগে হয়ে গেছে।
জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এ মামলার ৩৬ সাক্ষীর মধ্যে ৩২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই ৩২ জনের মধ্যে পাঁচজনকে জেরা করা হয়নি। কিন্তু এ পাঁচজনের জেরা চেয়ে করা আবেদন ৮ জুন পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান খারিজ করে দেন।
এর বিরুদ্ধে ২১ জুন হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ঢাকা তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত।
এ মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন, খালেদার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। জামিনে থাকা অন্য দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৭
ইএস/আইএ