তিনি বলেন, সম্প্রতি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ এক অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।
শুক্রবার (০৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনার খালিশপুর পিপলস চত্বরে শ্রমিক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শ্রমিক নেতা ও ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড হাফিজুর রহমান স্মরণে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি এ জনসভার আয়োজন করে।
মেনন আরও বলেন, সরকার পাটখাতের উন্নয়নে আন্তরিক। তারপরও পাটকলের শ্রমিকরা নিয়মিত মজুরি পান না। পরিবার পরিজন নিয়ে তাদের দুর্বিসহ জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। পাটকলগুলোতে কোটি কোটি টাকার পাটপণ্য মজুদ থাকলেও কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছেনা। ভারতে অ্যান্টিড্যাম্পিং করে এদেশের পাট খাত ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। পাটশিল্পকে বাঁচাতে এ ব্যাপারে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, আগামী একটি বছর বর্তমান সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জনজীবনের সংকট নিরসন করতে না পারলে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ও সাম্প্রদায়িক চক্র আরও মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। এতে করে বিপর্যয় নেমে আসবে। তাই শুধু নির্বাচনই নয়, সব অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।
পার্টির জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ সহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিনা মিজানুর রহমানের পরিচালনায় জনসভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য প্রফেসর ড. সুশান্ত দাস, নূর আহমেদ বকুল, কেন্দ্রীয় সদস্য দীপংকর সাহা দিপু।
বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের জেলা সভাপতি মোজাম্মেল হক, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা নেতা মনির হোসেন, দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, প্লাটিনাম জুট মিলের সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমান প্রমুখ।
শ্রমিক নেতা হাফিজুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে সমাবেশে কমরেড মেনন আরও বলেন, হাফিজুর রহমান ছিলেন শ্রমিকদের প্রেরণা। খুলনাসহ দেশের প্রতিটি শ্রমিক আন্দোলনে তিনি আপোষহীন ভূমিকা রেখেছেন। তার আর্দশকে ধারণ করে এদেশের শ্রমিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৭
এমআরএম/এসএইচ