রোববার (১১ ফেব্রয়ারি) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০দলীয় জোটের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে একটি নথির ওপর ভিত্তি করে মিথ্যা মামলায় ৫ বছরের সাজা দিয়ে কারাগারে নেয়ায় বৈঠকে তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান টেলিফোনে বক্তব্য দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বৈঠকে সরকারের সব অনৈতিক কাজের নিন্দা জানিয়ে আসন্ন নির্বাচন যাতে সব দলের অংশগ্রহণে সহায়ক সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে হতে পারে সেজন্য জোর দাবি জানানো হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াই ২০ দলের নেত্রী। আর দলের মহাসচিব হিসেবে আমি সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবো।
এর আগে বিকেল ৫ টায় এ বিশেষ বৈঠক শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা ৬ টায়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের মাওলানা আব্দুল হালিম, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিজেপির ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, এলডিপির ড. রেদওয়ান আহমেদ, এনডিপির গোলাম মোর্তুজা, জাগপার অধ্যাপিকা রেহেনা প্রধান, লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাড. আব্দুর রকিব, জাপার মোস্তফা জামাল হায়দার, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।
এ ছাড়া বিএনপির ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮
এমএইচ/এসএইচ