সোমবার (১৬ এপ্রিল) রাত ১১টা ১৭ মিনিটে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পাঠানো ই-মেইল বার্তায় এ দাবি জানানো হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, হলফনামায় মঞ্জু তার বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন মাত্র দুই লাখ টাকা।
অপরদিকে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বাস করেন একটি আলিশান ভাড়া বাড়িতে। যে বাড়িটি মাসিক ভাড়া কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা। তাহলে তিনি কি বাড়িওয়ালাকে জিম্মি করে অথবা বিনা অর্থে বসবাস করেন?
নেতারা আরো উল্লেখ করেন, একটি পরিবারে ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া, খাওয়াসহ মাসে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। তাহলে সাধারণ মানুষের মনেই প্রশ্ন জাগে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর অর্থের উৎস কোথায়?
বিএনপি একজন নির্বাচিত মেয়র ও বীরমুক্তিযোদ্ধাকে মনোনয়ন না দিয়ে বিশ্ব দুর্নীতিবাজ এবং দেশে-বিদেশে দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানের প্রেসক্রিপশন বিএনপি মোতাবেক নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে মনোনয়ন দিয়েছেন।
অন্যদিকে, গাজীপুরের নির্বাচিত মেয়র বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নানকে মনোনয়ন না দেওয়ায় তিনি অভিযোগ করে বলেছেন যে, ‘আমি লন্ডনে তারেক রহমানকে টাকা পাঠাতে পারিনি বলে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। ’ তাহলে খুলনাবাসীর প্রশ্ন নজরুল ইসলাম মঞ্জু লন্ডনে কত টাকা পাঠিয়ে দলীয় মনোনয়ন নিয়েছেন?
ই-মেইল বার্তায় উল্লেখ করেন, একজন দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত আসামির মনোনীতি প্রার্থী কতটা স্বচ্ছ হতে পারে এটি বিএনপি’র কাছে খুলনার মানুষের জিজ্ঞাসা? এ ধরনের অসত্য তথ্য যে প্রার্থী দিতে পারে তাদের দ্বারা নগরবাসী কি সেবা পেতে পারে? এছাড়া নজরুল ইসলাম মঞ্জু দলীয় মেয়রকে প্রভাবিত করে বিনা টেন্ডারে খুলনা সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য দফতর থেকে নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ নিয়েছেন। সে কাজের অর্থ কোথায় গেল?
তাই হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় অভিযোগে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর মনোনয়নপত্র বাতিলের জন্য জেলা রির্টানিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি জোর আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন- কেন্দ্রীয় নেত্রী সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় নেতা এস এম কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও ১৪ দলের সমন্বয়ক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী, খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি একেএম সানাউল্লাহ নান্নু, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন, সদর থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাশার, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বন্দ, খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম আনিছুর রহমান।
এর আগে সোমবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের মনোনয়ন বাতিলপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। বিএনপির মনোনীত মেয়রপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ অভিযোগ দাখিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
এমআরএম/ওএইচ/