বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের এসআই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলাটি (মামলা নম্বর ৪৮/১৮) দায়ের করেছেন।
কোতয়ালি মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক সত্য রঞ্জন খাসকেল জানান, মামলায় জননিরাপত্তা বিঘ্ন করা, পুলিশের উপর হামলা এবং সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগ আনা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আওলাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আটক ৬ জনকে মামলা নামধারী ও অজ্ঞাত আরও৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার দুপুরে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ৬ জন হলেন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বরিশাল জেলা শাখার আহবায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুম্মন, সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল জেলা শাখার অর্থ সম্পাদক নাসরিন আক্তার টুম্পা, জেলা শ্রমিক ফ্রন্টের অর্থ সম্পাদক মিঠুন চক্রবর্তী, সদস্য জাকির হোসেন ও নূর ইসলাম।
ব্যাটারি চালিত রিকশার উচ্ছেদ বন্ধ করা ও লাইসেন্স প্রদানের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে ব্যাটারি চালিত রিকশা শ্রমিক-মালিক সংগ্রাম কমিটি। যে কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেন বাসদ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। পরবর্তীতে তারা ভূখা মিছিল নিয়ে নগর ভবনে গিয়ে স্মারকলিপি দেয়।
নগর ভবন থেকে ফেরার পথে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে ফজলুল হক এভিনিউ সড়কে অবরোধের চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের সরাতে গেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতয়ালি) শাহনাজ পারভীন, কোতয়ালী থানার ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেন কয়েকজন পুলিশ আহত হন। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে ৬ জনকে আটক করা হয়।
তবে আন্দোলনকারীদের দাবী, কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে পুলিশ বিনা উস্কানিতে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে তাদের ১০/১২ জন কর্মী ও শ্রমিক আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় : ০৪১১ ঘন্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৮
এমএস/এসআই