ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া মঈনুলই বিএনপির সব: নাসিম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
খালেদার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া মঈনুলই বিএনপির সব: নাসিম ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ১৪ দল নেতারা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ১৪ দলের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন ১/১১ পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা ছিলেন। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সব মামলা দিয়েছিলেন তিনিই। এখন সেই মঈনুল হোসেন বিএনপি-জামায়াতের সব হয়ে গেছেন। এরা পরিক্ষিত গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি। এদের কথায় দেশের মানুষ বিভ্রান্ত হবে না।  

বুধবার (১৭ অক্টোবর) ১৪ দলের এক সভা শেষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মোহাম্মদ নাসিম এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দুপুরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।


  
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এই ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জাতীয় চার নেতা হত্যার পর খুনি মোশতাককে নিয়ে ডেমোক্র্যাটিক লীগ করেছিলেন। আর ১/১১ এর সময় দেশবাসী ড. কামাল হোসেনের ভূমিকা দেখেছে। তিনি তখনকার অনির্বাচিত সরকার সম্পর্কে বলেছিলেন এই সরকার যত দিন ইচ্ছা চালিয়ে যেতে পারবে। এই হচ্ছেন ড. কামাল হোসেন।  

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত নতুন সাথী নিয়ে অযৌক্তিক দাবি তুলে অশুভ চক্রান্ত শুরু করেছে। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে তারা একটি ‘অভিলাষ’ নিয়ে মাঠে নেমেছে। তাদের এই অভিলাষে দেশবাসী বিভ্রান্ত হবে না। সংবিধান অনুযায়ী-ই নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে।  

‘আর নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সরকার দেশ পরিচালনা করবে। এটা সংবিধান নির্ধারিত। ’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, আমরা চাই তারা নির্বাচনে আসুন, তাদের নির্বাচনে স্বাগত জানাই। কিন্তু অযৌক্তিক দাবি আদায়ের নামে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করলে দেশের মানুষ তাদের প্রতিহত করবে।  

এ সময় টকশোকে অসত্য বক্তব্য দেওয়ায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তিনি।  

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ১৪ দল মুখপাত্র বলেন, তিনি সাংবিধানিক পদে আছেন। সাংবিধানিক পদে থেকে কেউ এ ধরনের কথা বলতে পারেন না। তার পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত।
 
জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ১৪ দলের এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সাম্যবাদী দলের সাধারণ দীলিপ বড়ুয়া, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, ওয়ার্কার্স পার্টি পলিটব্যুরোর সদস্য কামরুল আহসান, আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, গণআজাদী লীগের এস কে সিকদার প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮ 
এসকে/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।