টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের পর আমানুরের উপস্থিতিতে তার আইনজীবীরা জামিন প্রার্থনা করেন।
সকাল পৌনে ১১টার দিকে ফারুক হত্যা মামলার আসামি এমপি রানাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে টাঙ্গাইল বিচারিক আদালতে আনা হয়।
আমানুরের আইনজীবীরা আসামিদের জেরা করেন। পরে রানার আইনজীবী আব্দুল বাকি মিয়া, আরফান আলী মোল্লা আমানুরের জামিন আবেদন করে শুনানিতে অংশ নেন। তারা যেকোন শর্তে আমানুরের জামিন চান।
এসময় জামিনের বিরোধীতা করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলি মনিরুল ইসলাম খান। তাকে সহায়তা করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলামসহ অনান্য আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ আগামী ২২ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এই আদালতেই আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-১-এ আছেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এ হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের জাড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এ মামলায় রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছে। গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার কাজ শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৮
আরএ