বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নীলফামারী শহরের জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয় নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে সাত কোটি টাকা।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে দেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড় করাতে হবে। সেটি করতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে জেলার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এখানে মেডিকেল কলেজ হয়েছে, উত্তরা ইপিজেডে ৩৫ হাজার মানুষ কাজ করছে, আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতাল, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি), যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থারও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
চিলাহাটি স্থলবন্দরের রেলের কাজ দ্রুত শুরু হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, উন্নয়ন হয়েছে রাস্তাঘাটের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার। এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আজ জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয় নির্মাণের কাজ শুরু হলো।
মানুষের বিষয় সম্পত্তির যাবতীয় কাগজপত্র (দলিল পত্র) জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে সংরক্ষিত থাকে, অথচ সেই ভবনটি অনেক পুরনো। এসব কাগজপত্র ঠিকমতো না থাকলে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়বে, সেটি মেনে নেওয়া যায় না। কারণ শেখ হাসিনা দিনরাত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, যোগ করেন মন্ত্রী।
জেলা শহরের সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয় চত্বরে জেলা রেজিস্ট্রার লূৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফয়সাল রহমান, জলঢাকা উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী, জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি তোজাম্মেল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লা প্রমুখ।
গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফয়সাল রহমান জানান, সাত কোটি টাকা ব্যয়ে ৩১ শতাংশ জমির ওপর চারতলা জেলা রেজিস্ট্রার ভবন নির্মাণ করা হবে। কার্যালয়টির জমি অধিগ্রহণে খরচ হয়েছে ৬২ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৮
এসআই