রোববার (৪ নভেম্বর) রাতে কোতোয়ালি থানায় মামলা দু’টি দায়ের করেন পুলিশ ও এক ছাত্রলীগ নেতা। মামলা দু’টিতে দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানা গেছে, আদালত চত্বরে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিয়া বাদী হয়ে ২৮ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এছাড়া নগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান আনিস বাদী হয়ে ২৮ জনের নামোল্লেখসহ আরও ৪০ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) আলতাফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, মামলা দায়ের পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের দশ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে।
গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একটি টেলিভিশন টক শোতে এক প্রশ্নের জবাবে সরাসরি যুক্ত হওয়া ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন। এর জের ধরে ২২ অক্টোবর রংপুর আদালতে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন নারী অধিকার কর্মী মিলি মায়া বেগম। ওই দিন রাতে রাজধানীরউত্তরা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এরআগে ৪ নভেম্বর দুপুর সোয়া একটার দিকে ওই মানহানির মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে রংপুর আদালতে হাজিরকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৮
ওএইচ/