শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে নুসরাতের কবর জিয়ারত করার পর নিজাম হাজারী বলেন, খুনিদের কয়েকজন ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। অন্যরাও শিগগির গ্রেফতার হবে।
তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের জঘন্য অপরাধ করতে না পারে। কোনো কারণ ছাড়া একজন মাদরাসাছাত্রীকে একজন অধ্যক্ষের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করার মতো জঘন্য ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই।
‘অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত ‘নুসরাত জাহান রাফির’ নামে সোনাগাজীতে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তার নামে ভবন ও একটি সড়কের নামে নামকরণ করা হবে। ’
নিজাম হাজারী ফেনী আসার পরপর শুক্রবার রাতে নুসরাতের গ্রামের বাড়িতে ছুটে যান। সেখানে তার বাবা মাওলানা মুসা, তার মা ও ভাইসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সান্ত্বনা দেন এবং সমবেদনা প্রকাশ করেন। এছাড়াও নুসরাতের মামলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন।
শেষে সোনাগাজী পৌর এলাকার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামে নুসরাতের কবর জিয়ারত করেন নিজাম উদ্দিন হাজারী। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বিকম, সোনাগাজী আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাখাওয়াতুল হক বিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ফেনী পৌরসভার কাউন্সিলর বাহার উদ্দিন বাহার, চরচান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মিলন, মতিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান রবিউজ্জামান বাবু, বগাদানা ইউপি চেয়ারম্যান কখম ইসহাক খোকনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতারা।
গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদরাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এর আগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানীর মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা।
পরে আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত মারা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৯
এসএইচডি/এএ