ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‌‘ভারত বন্দর ব্যবহার করলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৯
‌‘ভারত বন্দর ব্যবহার করলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন’ সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দর ভারত ব্যবহার করলে দেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদ ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মহানগর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার ভারতের সঙ্গে যে চারটি চুক্তি করেছে সবগুলোই দেশের স্বার্থবিরোধী।

এ সব চুক্তির কারণে দেশের জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেজন্যই ফাহাদ জনগণের প্রতি তার ভালোবাসার কারণে দেশের স্বাধীনতা রক্ষার কমিটমেন্ট থেকেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন।  তাকে হত্যা করা হয়েছে। দেশের জন্য দেওয়া তার এ রক্ত বৃথা যাবে না। ছাত্রসমাজ ফুঁসে উঠেছে। শহীদ জেহাদের রক্ত দানের মাধ্যমে যেমন স্বৈরাচারী এরশাদের পতন হয়েছিল, তেমনি ফাহাদের রক্ত দানের মাধ্যমে এ সরকারের পতনের সূত্রপাত হয়েছে।  

ভারতের সঙ্গে করা চারটি চুক্তিই দেশের স্বার্থবিরোধী দাবি করে বিএনপি নেতা মোশাররফ বলেন, ফেনী নদীর পানি দেওয়া হলে মুহুরী প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দর ভারত ব্যবহার করলে দেশের ব্যবসায়ীদের মালামাল খালাসে সময় বেশি লাগবে। সমুদ্র সীমানায় যৌথভাবে রাডার বসালে আমাদের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে। বিদেশ থেকে আমদানি করা এলপিজি গ্যাস ভারতের কাছে বিক্রি করলে তারা লাভবান হবে।  

দেশের গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তি একই সুতায় গাথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এ জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্য গড়তে হবে।  

পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান ড. মোশাররফ।  

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী,  মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপি নেতা আজিজুল বারী হেলাল, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ফজলুল হক খোকন প্রমুখ।  

সমাবেশে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৯
এমএইচ/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।