ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি কথা বলতে গেলেই দোষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
বিএনপি কথা বলতে গেলেই দোষ

বরিশাল: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, তিস্তা আন্তর্জাতিক নদী নয়। কিন্তু প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত প্রতিনিয়তই এ পানি চুরি করে নিয়েছে। বর্তমানে সরকার মানবিকতার দিক দিয়ে তিস্তার পানি দিয়ে দিচ্ছে। এখন তারা ১ দশমিক ৮২ মিলিমিটার পানি প্রতিঘণ্টায় নিয়ে যাচ্ছে। এদিকে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেলে তারা আমাদের পেঁয়াজ দেয় না। আওয়ামী লীগ পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আনলে দোষ হয় না আর আমরা (বিএনপি) কথা বলতে গেলেই দোষ।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (২৩ নভেম্বর) বরিশাল নগরের সদর রোডে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বরিশাল জেলা ও নগর বিএনপির আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশে মির্জা আব্বাস বলেন, গণতন্ত্রের ধারণা পাল্টে দিয়ে জনগণের ভোট ছাড়া আগের দিন রাতে নির্বাচনের ভোট চুরি করে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ।

এ সরকারের নেতাকর্মী, সরকারি কর্মকর্তাদের বাড়িতে কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে, যার কোনো হিসাব নেই। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করছে। এক এক সময় এক একভাবে লুটপাট করছে আওয়ামী লীগ সরকার।  

তিনি আরও বলেন, দেশে লুটপাট করে চুষে খাওয়ার জন্য খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাকে বন্দি রেখে অবাধে লুটপাট, লুন্ঠন, হত্যা, খুন, গুম করে রাজত্ব কায়েম করছে সরকার। খালেদা জিয়া কোনো অন্যায় করেনি। তিনি সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, তাই মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে।  

এসময় মির্জা আব্বাস অভিযোগ করে বলেন, বিএনপিকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা, জেল, হত্যা করে এ সরকার ক্ষমতায় থাকতে চায়। কিন্তু এভাবে চলতে পারে না। তাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশ নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে ফিরিয়ে আনতে হবে।  

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে কারণ তিনি জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য লড়াই করেছেন। সরকার দেখছে তাকে আটক করা ছাড়া তারা জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির মামলায় নয়, রাজনৈতিক মামলায় জেলে রাখা হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, এ সরকার পুরোপুরিভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। পেঁয়াজ, লবণসহ নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। দুঃশাসন নিরোধ করতে পারছে না। রাজনীতি আজ রাজনীতিবিদদের হাতে নেই।  

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কেন্দ্রীয় নারী দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেন, নিশিরাতের সরকার এমনি এমনি খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবে না। এ সরকারের পতন আর পদত্যাগের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করতে হবে।  

আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়দুল হক চাঁন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু, উত্তর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন খান, বরিশাল নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন সিকদার প্রমুখ।

এদিকে, সমাবেশ স্থলে ছাত্রদলের দুইগ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে সিনিয়র নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
এমএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।