ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপির জিয়া হত্যার বিচার না করা রহস্যজনক: ড. হাছান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২০
বিএনপির জিয়া হত্যার বিচার না করা রহস্যজনক: ড. হাছান

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুই দফা ক্ষমতায় থেকেও জিয়া হত্যার বিচার না করা রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া দুই দফায় দশ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আরও একবার বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে এক মাসের বেশি ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন।

এটি সত্যিই রহস্যজনক, জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার তিনি করেননি। সে কারণে জনগণের মনেও প্রশ্ন, জিয়া হত্যার বিচার করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে যাবে, এজন্যই কী তিনি বিচার করেননি!

শনিবার (৩০ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়কালে ‘জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে বিএনপি মাজারে যায়, কিন্তু জিয়া হত্যার বিচার চায় না’ এ বিষয়ে মন্তব্য চাইলে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, মিথ্যাচার না করে জনগণের পাশে এসে দাঁড়ান। আর আমাদের দুয়ার খোলা আছে, প্রয়োজনে আমাদের সঙ্গে আপনারা একযোগে জনগণকে সহায়তা করার জন্য কাজ করতে পারেন।

করোনা প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারের সুদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণেই এখনও আশপাশের দেশ ও ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে আমাদের দেশে করোনায় আক্রান্তদের মৃত্যুহার অনেক কম। কিন্তু রুহুল কবির রিজভী সাহেব সহ বিএনপি নেতারা যেভাবে কথাবার্তা বলছেন, তাতে মনে হয়, তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন।

বিএনপিকে আশপাশের দেশসহ বিশ্বের দিকে তাকানোর অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তানেও করোনা সংক্রমণের হার আমাদের চেয়ে বেশি। ভারতে সংক্রমণ চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। আর বেলজিয়ামে সংক্রমিতদের মৃত্যুহার ১৫ শতাংশ, ব্রিটেনে ১৪, যুক্তরাষ্ট্রে ৬, ভারতে ৩ দশমিক ২, পাকিস্তানে ২ এর বেশি আর আমাদের দেশে ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা যদি ভালো না হতো, তাহলে মৃত্যুহার ভারত-পাকিস্তানের মতো বা তার চেয়ে বেশি হতো। প্রধানমন্ত্রীর সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও সংশ্লিষ্ট সবার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই আমরা মৃত্যুহার কমিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, যাদের প্রয়োজন, তাদের খুঁজে খুঁজে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। কেউ চায়নি, কিন্তু মোবাইলে আড়াই হাজার করে টাকা পৌঁছে গেছে। দাবি না থাকা সত্ত্বেও কওমি মাদ্রাসা ও মসজিদগুলোতে সহায়তা পৌঁছেছে। সাংবাদিক, শিল্পীসহ বিভিন্ন পেশার অসহায় মানুষের জন্যও প্রধানমন্ত্রী সহায়তা দিচ্ছেন। আমি বিএনপিকে একটু চক্ষু মেলিয়া আশপাশের দেশে কোথাও এমন ত্রাণ ও সহায়তা দেওয়া হয়েছে কি-না দেখতে অনুরোধ জানাই।

আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ড. রোকেয়া সুলতানা, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২০
জিসিজি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।