ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

রাজনীতি

‘ভাইরাল হলে ব্যবস্থা, চাপা পড়লে রক্ষা নীতি পরিহার করুন’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:০৪, অক্টোবর ৭, ২০২০
‘ভাইরাল হলে ব্যবস্থা, চাপা পড়লে রক্ষা নীতি পরিহার করুন’ মানববন্ধনে বক্তারা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: শুধু ভাইরাল হলে ব্যবস্থা গ্রহণ আর চাপা রাখতে পারলে রক্ষার নীতি পরিহার করতে আহবান জানিয়েছেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য শিরীন আখতার।

বুধবার (০৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে জাসদ আয়োজিত ধর্ষক-গুণ্ডা-দুর্নীতিবাজ-লুটেরা-অপরাধী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে কঠোর দমন অভিযানের দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

মানববন্ধনের পরে ঢাকা মহানগর জাসদের সমন্বয়ক মীর হোসাইন আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল আলম, স্থায়ী কমিটির সদস্য নুরুল আখতার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সফি উদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোহসীন, রোকনুজ্জামান রোকন, নইমুল আহসান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুরুন্নবী প্রমুখ।

সমাবেশে শিরীন আখতার বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে পুলিশ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থার নাকের ডগায় সারাদেশে সংঘবদ্ধ গুণ্ডাবাহিনী, সংঘবদ্ধ ধর্ষকবাহিনী, সংঘবদ্ধ অপরাধীবাহিনী গড়ে উঠেছে। এ ব্যাপারে পুলিশ-আইন প্রয়োগকারী সংস্থা-গোয়েন্দা সংস্থা, এলাকার রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধিরা দায় এড়াতে পারেন না। তাদেরই এর জবাব দিতে হবে।

তিনি বলেন, সরকারকেই এই সংঘবদ্ধ গুণ্ডাবাহিনী, ধর্ষকবাহিনী, অপরাধীবাহিনীকে ধ্বংসের দায়িত্ব নিতে হবে। ‘তুই রাজাকার’ বলে যেভাবে আওয়াজ তুলে রাজাকারদের সামাজিকভাবে বর্জন করা হয়েছিল ঠিক সেভাবেই ‘তুই ধর্ষক’, ‘তুই গুণ্ডা’, ‘তুই দুর্নীতিবাজ’ ও ‘তুই লুটেরা’ বলে ধর্ষক, গুণ্ডা, দুর্নীতিবাজ, লুটেরাদের সামাজিকভাবে বর্জনের জন্য সারাবছর ধরে দেশের প্রতিটি এলাকায় আন্দোলন চালু রাখতে হবে।

শিরীন আখতার বলেন, ধর্ষক, গুণ্ডা, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের ঠিকানা রাজনৈতিক দল আর তাদের রক্ষাকারী কোনো নেতা হতে পারে না। হৈ চৈ হলে, জানাজানি হলে, ভাইরাল হলে গ্রেফতার, বহিষ্কার, দায়-দায়িত্ব অস্বীকার করে আর বাহবা পাওয়া যাবে না। শুধু ভাইরাল হলেই ব্যবস্থা গ্রহণ আর চাপা রাখতে পারলে অপরাধীকে রক্ষা করার নীতি পরিহার করুন। জনগণের বাহবা পেতে হলে আর একজন নারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের স্বীকার হওয়া, আর একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ সংগঠিত হবার আগেই ধর্ষক, গুণ্ডা, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, অপরাধী আর তাদের সংঘবদ্ধ বাহিনীগুলোকে এখনই রাজনৈতিক দল থেকে বের করে দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২০
আরকেআর/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।