ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কোম্পানীগঞ্জে আ'লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ আহত ২৫

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২১
কোম্পানীগঞ্জে আ'লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ আহত ২৫

নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে আবার সংঘর্ষের হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনিসহ অন্তত ২৫ জন।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে দফায় দফায় কোম্পানীগঞ্জ থানার পশ্চিম পাশে, রূপালী চত্বরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় সংঘর্ষকারীরা পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান, গাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর চালান।  


এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ৯টায়) বসুরহাট পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো গুলি ছোড়া হয়নি।  

স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার বিকেলে বসুরহাট রূপালী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার লোকজনের হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রূপালী চত্বরে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের একাংশ (মিজানুর রহমান বাদল ও তার অনুসারীরা)। একপর্যায়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে থানার পশ্চিম পাশের সড়কের মাকসুদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে সভায় হামলার চেষ্টা চালান আবদুল কাদেরের সমর্থকরা। এসময় উভয়পক্ষের সমর্থকরা মুখোমুখি হলে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষকারীরা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আহত হন ওসি মীর জাহিদুল হক রনিসহ চার পুলিশ সদস্য। এছাড়া সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২১ জন আহত হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি দোকানপাট ও অটোরিকশা।  

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানান, উভয়পক্ষকে শান্ত করতে গিয়ে তিনি ও তার কয়েকজন সহকর্মী আহত হয়েছেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।