ঢাকা: দেশ ও দেশের মানুষকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হাত থেকে বাঁচাতে হবে। ৯১ সালের পর থেকে দেশে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংবিধান সংশোধন করে সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।
বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এবং পার্টির ভাইস চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের একথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের হাত থেকে রাষ্ট্র ক্ষমতা বিএনপির হাতে গেলে শুধু কালেক্টর পরিবর্তন হবে, টাকার অংক বাড়বে। কিন্তু জনগনের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য দেশের জনগণ জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। তাই দলকে সুসংহত করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, নোয়াখালীর বসুরহাটে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে গেলো রাতেও একজন খুন হয়েছে। প্রায় ৩০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাদের দল একটাই, নেতাও একজনই। শুধু ভাগাভাগীর কারণেই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। দেশের মানুষ এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়। জাতীয় পার্টি দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে রাজনীতি করছে।
কাদের আরো বলেন, আওয়ামী লীগ-বিএনপি কোনো দলই জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেয়নি। বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে জাতীয় পার্টিকে লাঠিপেটা করেছে আর আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ভেঙে দুর্বল করেছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে গণতন্ত্রের মূলে কুঠারাঘাত করেছে। দুর্নীতি, লুটপাট আর বৈষম্য সৃষ্টি করে দেশের সুশাসন ধ্বংস করেছে দু’টি দল।
তিনি বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি কিন্তু বৈষম্য থেকে মুক্তি পাইনি। অনিয়ম ও ক্ষমতা অপব্যবহারে এখন নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সেই অধিকার হারিয়েছে দেশের মানুষ।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, চেয়ারম্যানের বিশেষ সহকারী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী, মো. জহিরুল আলম রুবেল, মাহজাবিন মোর্শেদ, ডা. কে আর ইসলাম, পনির উদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ উল্লাহ, প্রফেসর সবিতা বেগম, নাজনিন সুলতানা, ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা আল মাহমুদ, শফিকুল ইসলাম মধু, মিসেস সালমা হোসেন, অ্যাডভোকেট মো. তোফাজ্জল হোসেন, মৌলভী মো. ইলিয়াস, এএইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু, মোঃ আবু সালেক, মো. জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, শরিফুল ইসলাম চৌধরী, ইয়াহ ইয়া চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২১
এসএমএকে/এএ