ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ছাত্রলীগের নেতার মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ছাত্রলীগের নেতার মৃত্যু

বগুড়া: বগুড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে আহত তাকবির ইসলাম খান (২৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তাকবির হাসান খান বগুড়া সদর উপজেলার মালতিনগর দক্ষিণপাড়া এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে।

গত ১১ মার্চ রাত ৯টার দিকে শহরের সাতমাথা এলাকায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে  তাকবিরসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। আহতদের মধ্যে তাকবিরের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাতসহ শরীরে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল।

শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বাংলানিউজকে জানান, গত ১১ মার্চ রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকবিরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরে একাধিক জখমের চিহ্ন ছিল। মূলত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, হার্টের সমস্যা এবং বুকে আঘাতের কারণে তার শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সোমবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৩টার দিকে তাকবির মারা যান।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দুপুরে বগুড়া শহর থেকে ছাত্রলীগের বেশকিছু নেতাকর্মী দলীয় কর্মসূচিতে ধুনট উপজেলা সদরে যান। সেখানে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেওয়া নিয়ে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতার সঙ্গে তাকবিরের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে যায় ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাদের হস্তক্ষেপে। পরে ধুনট থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বগুড়া শহরে ফিরে আসেন। রাতে শহরের সাতমাথায় জিলা স্কুল সংলগ্ন ফুটপাতে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সস্পাদক আব্দুর রউফ ও তার নেতাকর্মীরা। রাত ৯টার দিকে তাকবির হাসান তার কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে এসে রউফ গ্রুপের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেন। এ সময় শুরু হয় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের আট থেকে নয় আহত হন।

এদিকে সংঘর্ষের পর গত ১৩ মার্চ দুই গ্রুপের পক্ষ থেকে বগুড়া সদর থানায় পাল্টাপাল্টি পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবিরের মা আফরোজা ইসলাম বাদী হয়ে বগুড়া আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফসহ সাত জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনের নামে  মামলা করেন।

অপরদিকে আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ হাসান বাদী হয়ে তাকবিরসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে জানান, ময়নাতদন্তের জন্য তারবিরের মরদেহ পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাকবির ছুরিকাঘাত হওয়ার পর তার মা আফরোজা বাদী হয়ে ছাত্রলীগ নেতা রউফকে প্রধান আসামি করে মামলা করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
কেইউএ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।