ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি একটি বাকবাকুম পার্টিতে পরিণত হয়েছে: নানক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২১
বিএনপি একটি বাকবাকুম পার্টিতে পরিণত হয়েছে: নানক

ঢাকা: বিএনপি একটি বাকবাকুম পার্টিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক৷

তিনি বলেন, যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে করোনার ভ্যাকসিন আসে, তখন বিএনপি বলেছিল ভ্যাকসিন তারা নেবে না। ভ্যাকসিনের মধ্যেও তারা অপপ্রচার চালিয়েছিল।

একদিকে তাদের নেত্রী দণ্ডিত খালেদা জিয়াও ভ্যাকসিন নেয়, অন্যদিকে তাদের নেতারা ভ্যাকসিন নিয়ে সমালোচনা করে। আসলে বিএনপির একটি বাকবাকুম পার্টিতে পরিণত হয়েছে।

রোববার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শেখ হাসিনার ‘কারা অন্তরীণ দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যখন করোনার মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার নির্দেশে অসহায় ও দুস্থ মানুষের সেবায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে, তখন বিএনপির নেতাকর্মীরা একফোঁটা চাল দিয়ে কাউকে সহযোগীতা করেননি। যখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ছেলে মারা যেত, পিতা দেখতে যেত না। পিতা মারা গেলে সন্তান যেতে চাইত না। তখনই তাদের পাশে ছাত্রলীগ নিরলস কাজ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছাত্রলীগ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল।

নানক আরও বলেন, "ওয়ান-ইলেভেনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্য ছিল জনগণের কন্ঠরোধ করে দেওয়া। জনগণের অধিকার হরণের একটি কূটনৈতিক প্রক্রিয়া। এর শুরুটা হয় ২০০১ সালে। জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা এবং দলের অভ্যন্তরীণ সুবিধাবাদী উচ্চাভিলাষী একটি গোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের বিজয়কে ব্যাহত করেতে ওয়ান ইলেভেন ঘটায়৷ নেত্রী গ্রেফতার হওয়ার আগে আমাকে শেষ বার্তা দিয়েছিলেন। তা হলো- ‘নানক আমি চলে যাচ্ছি। বিশ্বাসঘাতকতার কি দেখেছিলে? দেখতে পাবে আমি গ্রেফতার হবার পরে। '" 

তিনি বলেন, 'সেদিন দলের ভেতরে চলে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ। সে সময়ে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা করা হয়েছিল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে। সেই বর্ধিত সভায় তারা ভেবেছিল ওই ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের মনের মতো করে সিদ্ধান্ত দেবে। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে পারে নাই, কারণ জেলা থেকে আগত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকরা বলেছিলেন "নো শেখ হাসিনা নো ইলেকশন"। নেত্রী শেখ হাসিনার জন্য একটি নির্ধারিত চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়েছিল। '

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাবেক ছাত্রনেতা মাহমুদ হাসান রিপন, মাহফুজুল হায়দার রোটন, শেখ সোহেল রানা টিপু, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, সংগঠনের বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

বাংলাদেশ সময়: ২২২৩ ঘন্টা, জুলাই ১৮, ২০২১
এসকে/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।