ঢাকা: ড. জাফরুল্লাহ ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা জনগণকে বিভ্রান্তি করার জন্য বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আজ দেশের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে সে বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাফরুল্লাহ সাহেবতো ডাক্তার মানুষ। উনি ডাক্তার হিসেবে দেশে ও করোনার পরিস্থিতি অজানা থাকার কথা নয়। আপনারা জানেন করোনার ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট পৃথিবীর ১শ'র বেশি দেশে ছড়িয়েছে। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ আমাদের আশেপাশের দেশগুলোতে ভয়াবহ রূপধারণ করেছে। আমাদের দেশেও করোনার দ্বিতিয় ঢেউ শুরু হয়েছে, ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে। প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট অনেক বেশি সংক্রামক।
তিনি বলেন, যেসব দেশে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিয়েছে। সেসব দেশে ফের করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। যেসব দেশ মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিলো সেসব দেশে আবার স্বাস্থ্যবিধি আরোপ করা হয়েছে। এগুলোতো জাফরুল্লাহ সাহেব জানেন। আসলে তিনি মাঝেমধ্যেই জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য এসব কথা বলেন। জাফরুল্লাহ সাহেবের বক্তব্য বিভ্রান্তমূলক বক্তব্য ছাড়া আর কিছু নয়। সরকার শুরু থেকেই করোনা মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। সে কারণে আমরা প্রথম ঢেউ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অত্যন্ত সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। দ্বিতীয় ঢেউও আমরা অনেকটা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই আবার গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এবছরের মধ্যেই ১০ কোটি ডোজ টিকা দেশে আসবে। সম্ভব হলে প্রতিমাসে এক কোটি লোককে টিকা দেওয়া হবে। এগুলোতো জাফরুল্লাহ সাহেবরা জানেন। তারা জেনেও না জানার ভান করেন। আর জনগণকে বিভ্রান্তি করার জন্য বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন সরকার মাসে এক কোটি টিকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এটা প্রতারণা ছাড়া আর কিছু না। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার রোড ম্যাপ ঘোষণা করেই এই ঘোষণা দিয়েছে। সরকারতো দুই/তিন মাস আগে এই ঘোষণা দেয়নি। উনারাতো বরাবরই টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। তারা বলেছে টিকা নিলে মানুষের স্বাস্থ্যহানি হবে। একথা জাফরুল্লাহ, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা বলেছিলেন। পরবর্তিতে তারা আবার সেই টিকা নিয়েছেন। সুতরাং তারা আসলে আগে যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন সেই বিভ্রান্তি ছড়ানোর ধারাবাহিকতায় এ কথাগুলো বলছেন। একটা দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতা ও রাজনৈতিক দলের মহাসচিব হিসেবে বিভ্রান্তি ছড়ানো কখনো সমীচীন নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২১
জিসিজি/এএটি