ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

গণটিকার নামে গণতামাশা হচ্ছে: বিএনপি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২১
গণটিকার নামে গণতামাশা হচ্ছে: বিএনপি

ঢাকা: সরকার পর্যাপ্ত টিকা সংগ্রহ না করেই গণটিকার নামে গণতামাশা শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (৮ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, শনিবার বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সরকারের গণটিকা কার্যাক্রমকে গণতামাশা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

তিনি আরও বলেন,  চরম অব্যবস্থাপনা এবং দলীয়করণের কারনে এই লোক দেখানো গণটিকা অভিযান গণসংক্রমণ অভিযানে পরিণত হয়েছে। শনিবার সারা দেশে এই গণটিকার নামে একটা গণতামাশা শুরু করেছে। সরকারের হাতে টিকা এসেছে ১ কোটি ৬০ লাখ। অথচ শতকরা ৭০ ভাগ মানুষকে টিকা দিতে হলে প্রয়োজন হবে ২৬ কোটি টিকা। এছাড়া প্রথম এক সপ্তাহে এক কোটি টিকাদানের কথা বলে এখন একদিনে ৩০ লাখ করে তিনদিন দেওয়ার কথা বলছে। সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপেই প্রমাণিত হয়েছে টিকাদানের ক্ষেত্রে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।

কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রতিবেদন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গত দুই অর্থ বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রার ৬.৬২ কম অর্জন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে চূড়ান্ত প্রবৃদ্ধি ৩.৫১ শতাংশ অথচ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮.২ শতাংশ অর্থাৎ ৪.৬৯ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.৪৭ শতাংশ, লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭.৪ শতাংশ, ১.৯৩ শতাংশ কম।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক ফায়দা নেবার কারণে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে বাস্তবতা বিবর্জিত উচ্চাভিলাষী পরিসংখ্যান দিয়েছে সরকার। ব্যর্থ হয়েছে সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন। বিএনপি করোনাকালীন অর্থনীতিকে সচল রাখতে যে প্রণোদনার প্রস্তাব দিয়েছিল সরকার সেটা কার্যকর না করে জনগণকে বোকা বানিয়ে শুভঙ্করের ফাঁকির প্রণোদনা দিয়ে অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় করোনা টিকাদানে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সর্বনিম্ন হওয়া সত্ত্বেও সরকারের মন্ত্রী ও বিভিন্ন দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে জনগণকে চরম বিভ্রান্তি ও হতাশার কবলে ফেলায় নিন্দা জানানো হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী পরস্পর বিরোধী বক্তব্য প্রদান ও পরে প্রত্যাহার সরকারের সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতার পরিচয় বহণ করে। সভায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির প্রায় ৫০ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং অবিলম্বে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য হ্রাসে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানানো হয়। সভায় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টি-২০ সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২১
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।