ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

গণটিকা কর্মসূচি মুখ থুবড়ে পড়তে পারে: জি এম কাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২১
গণটিকা কর্মসূচি মুখ থুবড়ে পড়তে পারে: জি এম কাদের

ঢাকা: জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, টিকা এবং গণটিকা নিয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই। তাই অপরিকল্পিত এই গণটিকা কর্মসূচি বুমেরাং হতে পারে।

গণটিকা কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হওয়ায় করোনা আরও ভয়াবহ রূপে ছড়িয়ে পড়তে পারে। অনেক অসুস্থ ও বৃদ্ধ মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়েও টিকা পায়নি। আবার প্রয়োজন অনুযায়ী টিকা সংগ্রহ করতে না পারলে, গণটিকা কর্মসূচি মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। এ নিয়ে জনমনে হতাশা বিরাজ করছে।  

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।

বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট চলমান গণটিকা কর্মসূচির আওতায় ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু, তিন দিনেই লক্ষ্যমাত্রার প্রায় তিন গুন টিকা গ্রহণ করেছেন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণটিকা কেন্দ্রগুলোতে বিশৃঙ্খল পরিবেশ বিরাজ করছে। শারীরিক দূরত্বের বালাই নেই, মাস্ক নেই অনেকের মুখে। অভিযোগ উঠেছে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি হচ্ছে গণটিকা কর্মসূচিতে, অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা উচিত।  

তিনি বলেন, ৯ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট টিকা এসেছে ২ কোটি ৫৬ লাখ ৪৪ হাজার ডোজ। গতকাল পর্যন্ত প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন এক কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার ৬৩০ জন। ৪৭ লাখ ৩২ হাজার ৮৩২ জন দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে মোট গ্রহণ করেছেন ৯৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৬৪ ডোজ টিকা। অর্থাৎ মোট টিকা প্রয়োগ হয়েছে ২ কোটি ৩৯ লাখ ১৬ হাজার ২৯৪ ডোজ।

জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, সে হিসেবে সরকারের হাতে টিকা মজুদ থাকার কথা ১৭ লাখ ২৭ হাজার ৭০৬ ডোজ। এতে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিদের জন্য এখনো ঘাটতি আছে ১ কোটি ২৭ লাখ ২২ হাজার ৯২৪ ডোজ টিকা। প্রতিদিন টিকা প্রয়োগের কার্যক্রম চালু থাকলে দ্বিতীয় ডোজ প্রাপ্তির জন্য অপেক্ষমানদের তালিকা আরও বাড়তে থাকবে, সেই সঙ্গে বাড়বে টিকা ঘাটতির হিসাবও।  

বিবৃতিতে জি এম কাদের আরও বলেন, দেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য প্রয়োজন হবে কমপক্ষে ২৭ কোটি ডোজ টিকা। তাই গণটিকা কর্মসূচি চালু রাখতে সরকারকে এখনই বিভিন্ন উৎস থেকে দ্রুত টিকা সংগ্রহ করতে হবে। এখনো দেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বমুখী, কমার কোনো লক্ষণ নেই। সেক্ষেত্রে মহমারির এই ভয়াবহতা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় গণটিকা কর্মসূচি চালিয়ে রাখা। প্রতিদিন সরকারের মন্ত্রীরা টিকা প্রাপ্তির বিষয়ে আশ্বাসের বাণী শোনাচ্ছেন। কিন্তু টিকা প্রাপ্তি ও টিকাদান কর্মসূচি সম্পর্কে স্বচ্ছ ও সুস্পষ্ট ধারনা জনগণ পাচ্ছে না। তাছাড়া চলমান কর্মসূচিতে অনিশ্চয়তা, বিশৃঙ্খলা ও সমন্বয়হীনতা দৃশ্যমান। সেসব কারণে, সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা দিনদিন বেড়েই চলছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২১
এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।