ঢাকা: অনতিবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া না হলে সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
শনিবার (২৮ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অবিলম্বে খুলে দেওয়ার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশের সব ছাত্র সংগঠন, সব অভিভাবক বলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে। এটি একমাত্র দেশ যেখানে ১৬ মাস ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তাই সরকারকে বলবো—এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ লাখ শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে একদিনও সময় লাগার কথা না। তাহলে কেন তাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে না? ’৬৯- এর গণআন্দোলন, কোটা আন্দোলন, ৯০ এর আন্দোলন এসবকে ভয় পান তারা। এজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না।
সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানিয়ে মান্না আরও বলেন, আমরা তারিখ দিচ্ছি না, তাদের তারিখটা দেখবো। তাদের তারিখ দেখে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেব। তবে এটা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে সেপ্টেম্বরে সারাদেশে লাখো ছাত্র রাস্তায় নামবে। তারা অনেক কথা বলেছেন যা একটিও রাখতে পারেনি। তাই আমাদেরকে লড়াই গড়ে তুলতে হবে। এ লড়াই হবে ছাত্রদের মুক্তি দেওয়ার লড়াই।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, সারা বাংলাদেশের সব অভিভাবকের দাবি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার। অথচ ওবায়দুল কাদের বলেছেন—শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে বিশৃঙ্খলা করবে একটি মহল। কিন্তু আপনারা কোথায় শৃঙ্খলা রেখেছেন। যদি শৃঙ্খলা থাকতো তাহলে ভিকারুননিসা স্কুলে শিক্ষিকা এমন মন্তব্য করতে পারতেন না। একটি জাতিকে দিনের পর দিন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রেখে দেশ চলতে পারে না।
ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন বলেন, দেশের ৪ কোটি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেপ্টেম্বরে খুলে দেওয়ার কথা বলেছিল আবার অক্টোবরে বলা হচ্ছে। আদৌ খোলা হবে কিনা। তারা ভয় পাচ্ছে যে, তালেবানদের মতো বাংলাদেশের অবস্থা হয় কিনা। তাই অবৈধ সরকারকে হঠাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় দেশ করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ রেখেছে। তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রতিপক্ষ মনে করছে। তারা শিক্ষার্থীদের ইচ্ছে করেই টিকা দিচ্ছে না। তারা মনে করছে শিক্ষার্থীদের টিকা দিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হবে। তাই অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। তবে ভোট, ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হলে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বিএফইউজের একাংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহ বলেন, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়নি। গতকাল ওবায়দুল কাদের পরিষ্কার করে দিয়েছেন। তাদের মধ্যে আতঙ্ক ঢুকেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে ছাত্ররা রাজপথে নামবে।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ফোরামের আহ্বায়ক সেলিম ভূঁইয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২১
এসএমএকে/এমজেএফ