ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

৯২ বছরে বি. চৌধুরী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২১
৯২ বছরে বি. চৌধুরী

ঢাকা: সাবেক রাষ্ট্রপতি, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও খ্যাতিমান চিকিৎসক অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ৯২ বছরে পা রেখেছেন সোমবার  (১১ অক্টোবর)। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী বি. চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরে (প্রখ্যাত মুন্সেফ বাড়ি) মাতুলালয়ে জন্ম গ্রহণ করেন।

দলীয় সূত্র জানায়, সাবেক এই রাষ্ট্রপতির ৯২ তম জন্মদিন উপলক্ষে বিকল্পধারা বাংলাদেশ মধ্যবাড্ডার দলীয় কার্যালয়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে মাস্ক বিতরণ, কেক কাটা, দোয়া মাহফিল ও আলোচনাসভা।

এদিকে বি. চৌধুরীর জন্মদিন উপলক্ষে বিকল্পধারা, যুক্তরাজ্য শাখা আলাদা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সাবেক এই রাষ্ট্রপতির জন্মদিন উপলক্ষে লন্ডনের স্পেকট্রাম বাংলা রেডিও ও অন লাইন টিভিতে সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

বি. চৌধুরীর বাবা অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী কৃষক প্রজা পার্টির সহ-সভাপতি, যুক্তফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানার মজিদপুর দয়হাটা গ্রামে।

বি.চৌধুরী একজন কৃতি ছাত্র। ১৯৪৭ সালে ঢাকার বিখ্যাত স্কুল সেন্ট গ্রেগরি থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৪৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএসসি পাস করেন। তিনি ১৯৫৪-৫৫ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ  (ঢামেক) থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। সব পরীক্ষাতেই তিনি মেধা তালিকায় ছিলেন।

বি.চৌধুরী যুক্তরাজ্যের তিনটি রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ানস্ লন্ডন, এডিনবার্গ ও গ্লাসগো থেকে নির্বাচিত ফেলো-এফ.আর.সি.পি এবং বাংলাদেশের (সম্মানিত) এফ.সি.পি.এস। তিনি রোগ বিজ্ঞানে দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় অধ্যাপক, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং রোগ বিজ্ঞান বিষয়ে টিভি অনুষ্ঠানের রেকর্ডঅর্জনকারী উপস্থাপক। সফল পার্লামেন্টেরিয়ান বি. চৌধুরী জাতিসংঘে তিনবার বক্তৃতা দেন। তিনি স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং বহু গ্রন্থের প্রণেতা।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের অনুরোধে ১৯৭৮ সালে রাজনীতিতে যুক্ত হন বি. চৌধুরী। তিনি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থেকে ১৯৭৯ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং কেবিনেট মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে তিনি দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং প্রথমে শিক্ষা মন্ত্রী ও পরে সংসদ উপনেতা হন। ১৯৯৬ সালে তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতার দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ২০০১ সালে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং অক্টোরব থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক কারণে ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন।

বি. চৌধুরী ২০০৪ সালের ৮ মে বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি দলটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন।

তার সহধর্মীনির নাম হাসিনা ওয়ার্দা চৌধুরী। অধ্যাপক চৌধুরী ২ মেয়ে এবং এক ছেলের জনক। তার বড় মেয়ে মুনা চৌধুরী ব্যারিস্টার। ছোট মেয়ে শায়লা চৌধুরী পেশায় চিকিৎসক এবং ঢাকার উত্তরা মহিলা মেডিক্যাল কলেজে অধ্যাপনা করেন। একমাত্র ছেলে মাহী. বি. চৌধুরী রাজনীতিবিদ, সংসদ সদস্য এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২১
এমএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।