ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আইনমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলেন এহসানুল হুদা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২১
আইনমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলেন এহসানুল হুদা

ঢাকা: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতীয় সংসদে আইনের ‘অপব্যাখ্যা’ দিয়েছেন দাবি করে ২০ দলীয় জোটের শরীক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেছেন, ‘আইনমন্ত্রী একটা ভুল ও অপব্যাখ্যা দিচ্ছেন। জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন।

সেটা সংবিধানের লঙ্ঘন। আমি এই আইনমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। ’

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয় দল আয়োজিত ‘গণতন্ত্র হরণকারী প্রতিহিংসা পরায়ণ সরকারের পদত্যাগ এবং মাদার অব ডেমোক্রেসি দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি’র দাবিতে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন তিনি।

এ সময় এহসানুল হুদা বলেন, ‌‘আইনমন্ত্রী বলেছেন ৪০১ ধারায় দেশমাতাকে বিদেশে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা পুরোপুরি মিথ্যা কথা বলেছেন তিনি। যার নজির বাংলাদেশের অনেকবার স্থাপিত হয়েছে। সরকার প্রধান সন্ত্রাসীদের রাতের আঁধারে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। লক্ষীপুরের তাহেরের সন্তানদের সাজা মওকুফ করেছেন। কিন্তু গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে সরকার। ’

তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন এই সরকারের প্রধান কতটা প্রতিহিংসা পরায়ণ। কুমিল্লা বিভাগের নাম উনি রাখবেন না, কারণ সেখানে মোশতাকের জন্ম হয়েছে। আমাদের কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে আপনার দেশ কোথায়, আমরা কি বলি বরিশাল, লক্ষীপুর, কুমিল্লা? আমরা তো বলি বাংলাদেশ। ওই মোশতাকের জন্ম এই বাংলাদেশে হয়েছে। তাহলে শেখ হাসিনা আপনি অন্য দেশে চলে যান। কারণ এই দেশে আপনার পিতার খুনির জন্ম। আপনার এই দেশে থাকার অধিকার নেই। ’

তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের আন্দোলনের সময়। বিএনপি তাদের নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করছে। এতে আমার দুঃখ হয়, আগামীকাল ডিসিদের কাছে স্মারকলিপি পেশ করবে। কিসের স্মারকলিপি? ইটস এ ডু অর ডাই সিচুয়েশন রাইট নাউ। আমরা বলছি দেশমাতা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। সেখানে আমরা যাবো ডিসির কাছে স্মারকলিপি দিতে। এই কুসুম-কুসুম আন্দোলন দিয়ে হবে না। এখন কর্মসূচি আসতে হবে দেশমাতার মুক্তির কর্মসূচি। হঠাও হাসিনা, বাঁচাও বাংলাদেশ। আমরা যদি ইমান, সাহস ও সততার শক্তিতে বলিয়ান হয়ে রাজপথে নামতে পারি এ দেশের জনগণ আমাদের সঙ্গে থাকবে। আমরা ক্ষুদ্র রাজনৈতিক শক্তি, কথা দিচ্ছি আন্দোলনে আমরা সামনের কাতারে থাকবো। ’

জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান, তাঁতী দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, জাতীয় দলের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, এলডিপির যুগ্ম-মহাসচিব চাষী এনামুল হক, কৃষক দল নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২১
এমএইচ/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।