ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’: সিপিবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২২
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’: সিপিবি

ঢাকা:  জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, জনগণের জন্য ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে জনজীবনে কী প্রভাব পড়বে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে এ কথা বলেন।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) দিনগত রাত ১২টার পর থেকে ভোক্তা পর্যায়ে লিটার প্রতি ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

কমরেড শাহ আলম বলেন, সব জিনিসের দাম বেড়েছে, এর সঙ্গে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, জনগণের জন্য ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হল। জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে যতখানি বাড়ানো হয়েছে, এর প্রভাব সর্বক্ষেত্রেই হবে। সব ধরনের পণ্যের দামা বাড়ার হিসেব করলে দেখা যাবে, যে ব্যক্তির বেতন ২০ হাজার টাকা ছিল, তার বেতন ১০ হাজার টাকা হয়ে গেছে। অর্থাৎ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে মানুষের প্রকৃত আয় আরও কমে যাবে। ফলে দেশে নৈরাজ্য এবং অস্থিরতা আরও বাড়বে। একই সঙ্গে দেশে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানিও বেড়ে যাবে। ফলে দেশ এক মহাসংকটে পড়বে।

সিপিবি সভাপতি বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধি একটা তুঘলকি কাজ কারবার হয়েছে। সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে ভুল নীতির কারণে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু সিস্টেম লস, অর্থাৎ ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা চলে যাচ্ছে, সেদিকে নজর নেই। রেন্টাল বিদ্যুতকে কত হাজার হাজার কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। সেগুলো এখন আবার কেন জনগণের কাঁধে চাপিয়ে দৌয়া হচ্ছে?। আমরা বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ঘোরতর বিরোধী,  দেশের জনগণও এটা মানে না, আমরা এটা মানি না। এটা বাতিল চাই।  

তিনি জানান, জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) শনিবার (৬ আগস্ট ) বিকেল সাড়ে তিনটায় বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করেছে।

এদিকে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় আমজনতার স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। যতদিন সম্ভব ছিল, ততদিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির চিন্তা করেনি।   অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই কিছুটা অ্যাডজাস্টমেন্টে যেতে হচ্ছে। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের  মূল্য কমিয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য পুনরায় বিবেচনা করা হবে।  

বাংলাদেশের সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০২২
আরকেআর/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।