ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

যুবদল নেতাকে অপহরণের মামলায় শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
যুবদল নেতাকে অপহরণের মামলায় শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের ইজারাকৃত ঘাটে টোল আদায়ের দায়িত্বে থাকা এক যুবদল নেতাকে অপহরণের পর নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. সেলিম আহমদকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হোসন বখত চত্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পরে দুপুর ৩টায় আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।  

এর আগে গত শুক্রবার (১২ আগস্ট) শহরের হাছননগর আবাসিক এলাকার অলিউর রহমান বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জনকে আসামি করে অপহরণ, চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের অভিযোগে তাহিরপুর থানায় একটি মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বাদী অলিউর সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি। তিনি মন্দিআতা ঘাটের ইজারাদার আশরাফুজ্জামান রনির ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।  

এর আগে ওই মামলায় তাহিরপুর উপজেলার মুদেরগাঁও গ্রামের মুর্শেদ আলম ও শামীম আহমদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৯ আগস্ট তাহিরপুর উপজেলার মন্দিআতা এলাকায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জেটিতে এসে ঘাটের ইজারাদারের ম্যানেজার অলিউর রহমানের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তারেক-মুর্শেদসহ একদল যুবক। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাঁদা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেন তাকে।  

আল্টিমেটাম অনুযায়ী চাঁদা না দেওয়ার বুধবার (১০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেটিতে জোরপূর্বক ঢোকে টোল আদায়ে নিযুক্ত অলিউর, বায়োজিদ ও সুদীপকে হাত-পা বেঁধে স্পিডবোটে করে মোদেরগাঁও গ্রামের আব্দুল লতিফের বাড়িতে নিয়ে যান তারা। সেখানে অপহৃত তিনজনকে আসামিরা রাতভর নির্যাতন করেন।  

এদিকে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ অপহৃত তিনজনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। ওইদিন গ্রেফতার করা হয় মামলার দুই নম্বর আসামি মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে মুর্শেদ আলমকে।  

জানা যায়, মামলার আসামি তারেক আহমদ, মুর্শেদ আলম, তানভীর আহমদ ও সোহাগ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম আহমদের চাচাতো ভাই। অপহরণের ঘটনায় সেলিমের মালিকানাধীন স্পিডবোট ব্যবহার করায় তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জানায় পুলিশের একটি সূত্র।  

সেলিম আহমদের বড়ভাই ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারে আমার ভাইয়ের নাম ছিল না। সোমবারও তাহিরপুর উপজেলা সদরে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছে। সে স্থানীয় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। তাকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে গ্রেফতার করে আমাদের পরিবারকে হেয়-প্রতিপন্ন করতে চাচ্ছে একটি পক্ষ।  

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, তাহিরপুর থানায় দায়ের করা অপহরণ মামলার সূত্রধরে সেলিম আহমদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়:  ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।