ঢাকা: সরকার দেশে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সঙ্কট অনিবার্য করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
বুধবার (১৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন আয়োজিত ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সঙ্কট: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাকি বলেন, এর আগে সরকার যখন গ্যাস রফতানির সিদ্ধান্ত নেয়, আমরা আন্দোলন করে সেটি আটকেছিলাম। এ যাত্রায় আমরা আর সেটি পারিনি। আমরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সঙ্কট মোকাবিলার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি। রামপাল, পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, কিন্তু সঞ্চালন লাইন নাই। কি পরিমাণ সামঞ্জস্যহীনতা তাদের আছে, তার উদাহরণ এটি।
তিনি বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপির বেশ সমালোচনা করে। বিএনপি নাকি দেশকে অন্ধকারে ডুবিয়েছে। সেটা ঠিক। দেশ অন্ধকারে ছিল। কিন্তু, আওয়ামী লীগ এসে গত ১৩ বছরে সেই এই সঙ্কটকে পুঁজি করে নিজেদের পকেট ভারী করেছে। লুটপাট করেছে। কিন্তু, এসব নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ নাই। কারণ, আগে ভোটের একটা ব্যাপার ছিল। এই সরকার এসে সেটি তুলে দিয়েছে। কোনো জবাবদিহিতা নাই।
‘অতএব, আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। আমরা এ ধরনের সরকারের অধীনে থাকব কিনা। আর জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। ’ বলেন সাকি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, উপর মহল বা নীতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে অনেকেই বলেন, দেশে গ্যাস নেই বা অপ্রতুলতা আছে। যেটুকু আছে তা উত্তোলনের জন্য যথেষ্ট নয়। বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি করেই চলতে হবে। জনগণের সামনে এসব কথা বলার আগে আরেকটু দায়িত্বশীল হতে হবে।
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় বৈঠকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক প্রফেসর আনু মোহাম্মদ, পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি সম্পাদক মোল্লা আমজাদসহ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও সুজন নেতারা বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ১৭ আগস্ট, ২০২২
এমকে/এসএ