ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আমাকেও কি আয়নাঘরে রাখা হয়েছিল?

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
আমাকেও কি আয়নাঘরে রাখা হয়েছিল?

ঢাকা: সম্প্রতি অনলাইন নিউজ পোর্টাল নেত্র নিউজের তথ্যচিত্র 'আয়নাঘর' নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। বলেছেন, অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকার দেশকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।

বুধবার (১৭ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন সাবেক এই ডাকসু নেতা।

মান্না বলেন, ২০১৫ সালে আমাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে প্রায় ৪০ ঘণ্টা গুম করে রাখা হয়। চোখ বেঁধে কোনো একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময়টাতে আমিও পাশের ঘরগুলো থেকে চিৎকারের শব্দ শুনেছি। আমাকেও কি আয়নাঘরের মতো কোনো জায়গায় রাখা হয়েছিল? এই সরকার অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে মানবাধিকারের ভয়ঙ্কর লঙ্ঘন করেছে। আমি অনতিবিলম্বে তথাকথিত আয়নাঘরের বন্দিসহ গুম হওয়া সব নাগরিককে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

জাতিসংঘের প্রতি নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অবিলম্বে বাংলাদেশে সংঘটিত সব গুমের আন্তর্জাতিক তদন্ত হওয়া জরুরি। এই সরকার দেশের জনগণের মানবাধিকার সম্পূর্ণভাবে হরণ করেছে। বিরোধী শক্তিকে দমন করতে তারা জনগণের টাকায় আয়নাঘরের মতো 'নির্যাতন সেল' তৈরি করে সেখানে দেশের জনগণের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে বিভিন্ন সময়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীদের অপহরণ ও গুম করেছে, সেটা এই তথ্যচিত্রে প্রমাণিত।

মান্না বলেন, নেত্র নিউজে বাংলাদেশ সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা পরিচালিত নির্যাতন সেল আয়নাঘরে রাজনৈতিক নেতা–কর্মীদের নির্যাতনের যে ভয়ঙ্কর চিত্র প্রকাশ পেয়েছে, তাতে নাগরিক ঐক্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। আমি এই তথ্যচিত্র এবং নির্যাতন সেল সম্পর্কে সরকারকে জবাব দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে দেশের জনগণের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধে অবৈধ ক্ষমতাসীন নিষ্ঠুর সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
এমএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।