কুমিল্লা: কুমিল্লা শহরতলীর ধর্মপুর রেলগেট এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (২১ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আবদুল হান্নান সোহেল কালিকাপুর এলাকার বাসিন্দা। আর ফখরুল ইসলাম রুবেল ধর্মপুর এলাকার বাসিন্দা। দু’জনই ধর্মপুর এলাকায় একই ব্যবসা করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নগরের টাউন হলে জনসভার আয়োজন করে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ। সভাস্থলে আসার সময় সোহেল ও রুবেলের গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনার সময়ের একটি সিসিটিভির ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, দু’জন বন্দুক হাতে মহড়া দিচ্ছেন। স্থানীয়রা তাদের রুবেল ও চপল বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া সিসি ক্যামেরা ভাঙার চেষ্টা করতে দেখা যায় জনিকে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল হান্নান সোহেলের বাবা আবদুল লতিফ বলেন, সোহেল বন্ধু রাসেলের মোটরবাইকে বাড়ি ফিরছিল। পথে ফখরুল ইসলাম রুবেল, আবুল বাশার, জনি ও চপলসহ কয়েকজন পেছন থেকে তার ওপর গুলি ছোড়ে। রুবেলরা তাদের মোটরবাইকটি পুড়িয়ে দেয়। রাসেলের পায়ে ও গালে গুলি লেগেছে। সোহেল ও তার চাচা আবদুল মতিনসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারা এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সোহেল স্থানীয় এমপি বাহাউদ্দিন বাহারের কর্মী। বাহার সাহেবের রাজনীতি করতে গিয়ে গুলিও খেয়েছিল।
রুবেলের পক্ষের যুবলীগ কর্মী শহিদুল ইসলাম চপল বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে টাউন হলে এমপি বাহারের ডাকা গণজমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিলে আসার পথে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসারের ওপর হামলা করেন ইউপি সদস্য সোহেল। খবর পেয়ে আমাদের কর্মীরা ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যান। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা তার বাইক পুড়িয়ে দেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২২
এসআই