ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা প্রীতম দাশের মুক্তি দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা প্রীতম দাশের মুক্তি দাবি

ঢাকা: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানায় কথিত ধর্মীয় আবমাননার অভিযোগে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে গ্রেফতার রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা প্রীতম দাশের মুক্তি দাবি করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে সংহতি সমাবেশ করায় প্রীতম দাশকে শায়েস্তা করতেই তার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বক্তব্যের সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ দাঁড় করানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মেজর হায়দার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, গণধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, জেএসডি-র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ডা. জাহেদুর রহমানএবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান।

সভায় নেতৃবৃন্দ মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল থানায় কথিত ধর্মীয় আবমাননার অভিযোগে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে গ্রেপ্তারকৃত রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা প্রীতম দাশের মুক্তি দাবি করে বলেন, চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে সংহতি সমাবেশ করায় প্রীতম দাশকে শায়েস্তা করতে রাস্তা খুঁজছিল সরকার। অন্য আর কোনো কিছু না পেয়ে প্রীতম দাশের হিন্দু পরিচয়কে পুঁজি করে তার বিরুদ্ধে  সাম্প্রদায়িক বক্তব্যের সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ দাঁড় করায় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও প্রশাসন। তারই জের হিসাবে গণবিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই আজকে সন্ধ্যায় তাকে তার বন্ধুর বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে শ্রীমঙ্গল পুলিশ। প্রীতমের ওপর হওয়া এই জুলুম ন্যায়ের পক্ষে কাজ করা সকল মানুষের ওপর জুলুম। একই সাথে এই ঘটনা ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে সরকারের নোংরা রাজনীতির জলন্ত উদাহরণ হয়ে থাকবে।

নেতৃবৃন্দ সারাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের সভা সমাবেশে সরকারি গুন্ডাবাহিনী ও রাষ্ট্রীয় পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, গতকাল নেত্রকোনায় সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে হামলা এবং কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ নেতৃবৃন্দকে আহত করা সরকারের বেপোরোয়া মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা আরও বলেন, সারাদেশে বিএনপির সভা-সমাবেশে এবং নেতাকর্মীদের বাড়িতে সরকারি গুন্ডাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর হামলা গ্রেফতার প্রমাণ করছে ক্ষমতা হারানো ভয়ে সরকার উন্মাদ হয়ে গেছে।

সভায় সরকার ও শাসনব্যবস্থা বদলের সংগ্রামে ঢাকাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ইউনিট নেতৃবৃন্দকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।